ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

এক গ্রাহকের ১৫টির বেশি সিম নয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৭
এক গ্রাহকের ১৫টির বেশি সিম নয় বিটিআরসি’র নির্দেশনায় গ্রাহকপ্রতি সিম গ্রহণের সংখ্যা সর্বোচ্চ ১৫টি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা: মোবাইল ফোনের সিম কার্ড গ্রহণের সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

এখন থেকে গ্রাহকপ্রতি ১৫টির বেশি সিম নেওয়া যাবে না। ১৫টির বেশি সিম থাকলে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।


 
মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহীদের প্রতি দেওয়া নির্দেশনায় একথা জানিয়েছে বিটিআরসি।
 
এর আগে সর্বশেষ একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি সিম নেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। তারও আগে পাঁচটির বেশি সিম নিবন্ধন নিষিদ্ধ ছিল।
 
অপারেটরদের কাছে সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) পাঠানো বিটিআরসি’র নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘এখন থেকে গ্রাহকপ্রতি পোস্ট পেইড, প্রি-পেইড নির্বিশেষে সর্বোচ্চ সিম/রিম (সকল অপারেটর মিলিয়ে) সংখ্যা ১৫টি নির্ধারিণ করা হলো। ১৫টির অতিরিক্ত সিম/রিম অবৈধ বলে গণ্য হবে’।
 
‘করপোরেট গ্রাহকের ক্ষেত্রে এ সীমা বাস্তবসম্মত নয় বলে শুধুমাত্র কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য সিম/রিম কেনার জন্য অনুমোদিত ব্যক্তি (পয়েন্ট অব কন্টাক্ট) ওই সর্বোচ্চ সীমার আওতামুক্ত থাকবেন’।
 
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘বিদ্যমান গ্রাহকের মধ্যে যাদের ১৫টির বেশি সিম/রিম রয়েছে, তাদেরকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্ব উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের নিজস্ব কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে উপস্থিত হয়ে অতিরিক্ত সংযোগ নিষ্ক্রিয় করার অনুরোধ করা হলো’।
 
‘ওই সময়ের মধ্যে কোনো গ্রাহক তার অতিরিক্ত সিম/রিম স্বেচ্ছায় নিষ্ক্রিয় না করে থাকলে পরবর্তীতে কমিশন নির্ধারিত পদ্ধতির ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সংযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে’।
 
যেকোনো গ্রাহককে তার জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/জন্ম নিবন্ধন সনদের বিপরীতে কতোটি সিম রয়েছে, তা জানারও সুযোগ করে দিয়েছে বিটিআরসি।
 
ইউএসএসডি’র মাধ্যমে *১৬০০১# নম্বরে ডায়াল করে ফিরতি রিপ্লাইয়ে আইডি নম্বরের শেষের ৪ ডিজিট লিখে পাঠাতে হবে। আর এসএমএসের মাধ্যমে আইডি নম্বরের শেষ ৪ ডিজিট লিখে ১৬০০১ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে পারবেন গ্রাহকরা।
 
উভয় ক্ষেত্রেই ফিরতি এসএমএসে গ্রাহকের ওই আইডির বিপরীতে কোন অপারেটর থেকে কতোটি সিম/রিম রয়েছে, তা নম্বরসহ জানিয়ে দেওয়া হবে।
 
গত বছরের ১২ জুন সরকারের নির্দেশনায় গ্রাহকপ্রতি ২০টি সংযোগ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ০৪ আগস্ট এ সংখ্যা কমিয়ে ৫টি নির্ধারণ করে সরকার। গত ২৪ অক্টোবর ১৫টি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল।
 
বিটিআরসি’র সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের পক্ষ থেকে এ সংখ্যা মেনে চলতে আবারো নির্দেশনা পাঠানো হলো।
 
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের পর সকল গ্রাহকের তথ্য বিটিআরসি’র কাছে সংরক্ষিত আছে। এতে অপরাধ প্রবণতা কমে এসেছে বলে দাবি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের। কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারের মাধ্যমেও জানা যাচ্ছে, কার কাছে কতোটি সিম রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
এমআইএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।