ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

পোস্তগোলার আদ-দ্বীন হাসপাতালে মাসব্যাপী ফ্রি ক্যাম্প

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৮
পোস্তগোলার আদ-দ্বীন হাসপাতালে মাসব্যাপী ফ্রি ক্যাম্প আদ-দ্বীন হাসপাতালে চলছে মাসব্যাপী ফ্রি ক্যাম্প/ছবি: শাকিল

ঢাকা: স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে রাজধানীর পোস্তগোলার আদ-দ্বীন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক হাসপাতাল। সে লক্ষ্যেই হাসপাতালটি মাসব্যাপী চালু করেছে বহির্বিভাগে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা কার্যক্রম।

শনিবার (১৪ জুলাই) হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, এখানকার বহির্বিভাগে সাধারণ জনগণ সুযোগ পাচ্ছেন ১২টি বিষয়ে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের। যা চলছে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।



কথা হয় হাসপাতালে আসা ৬০ বছর বয়সী আকলিমা খাতুনের সঙ্গে। চোখের সমস্যা নিয়ে তিনি এসেছেন ডাক্তার দেখাতে। আকলিমা বলেন, এখানে ডাক্তার আপারা ফ্রি ফ্রি দেখেন। তাই অন্য মানুষের সঙ্গে এলাকার গরিব মানুষগুলাও ভালো ডাক্তার দেখাতে পারে।

হাসপাতালটিতে গত ০১ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ১২টি বিভাগে বিনামূল্যে সেবা কার্যক্রম থাকবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ বিভাগগুলো হলো- শিশু বিভাগ, মেডিসিন বিভাগ, চক্ষু বিভাগ, ডায়াবেটিস বিভাগ, সার্জারি, স্ত্রী রোগ ও ধাত্রীবিদ্যা, নাক-কান-গলা, দন্ত, চর্ম, ফিজিওথেরাপি, অর্থোপেডিক্স এবং ইউরোলজি বিভাগ।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজ বলেন, আমরা চাই সবার কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে। এ হাসপাতালটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, শিশুদের জন্য আলাদা শিশু কর্নারে খেলার ব্যবস্থাসহ রোগীদের জন্য ক্যান্টিন, হাসপাতালের ভেতরেই ডিপার্টমেন্টাল স্টোর সহ পোশাকের দোকানও পাওয়া যাবে। যেখানে ব্যবস্থা করা হয়েছে সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত পোশাকের।

এছাড়া সর্বাধিক কম মূল্যে বাংলাদেশের সবচে’ আধুনিক পরীক্ষা-নীরিক্ষাও এ হাসপাতালে করা হয় বলে সময় জাএনান তিনি। চালু আছে ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্স সেবাও।

নতুন বাবা হয়েছেন সাজ্জাদ সরকার। কথা হলে বলেন, অন্যান্য হাসপাতালের তুলনায় এখানকার স্বাস্থ্যসেবা অনেক সুন্দর এবং গোছানো। ডাক্তাররাও রোগীদের নিয়মিত টেক-কেয়ার করেন। আর এ হাসপাতালটি এতই পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন যে, জুতা-স্যান্ডেলও খুলে রাখতে হয় বাইরে।

অপর একজন নতুন মা হওয়া মাহমুদা ইসলাম সাথী বলেন, এখানে সবথেকে যে বিষয়টা ভালো লেগেছে তা হলো নার্সদের সেবা। অন্য বিভিন্ন হাসপাতালে নার্সদের মেজাজের কাছে রোগীরা হয়রান হন। এখানে সেটা নেই, সব মিলে যেনো একটা পরিবারের মতো। ডাক্তার আপারাও রোগীর খোঁজ খবর নেন নিজে থেকেই।

হাসপাতালের ম্যানেজার তাহমিনা তাহমীনা নাজনীন খান বলেন, আমরা সবসময়ই চেষ্টা করি এখানে আসা রোগীদের তাদের পরিবারের মতো করে সেবা দেওয়ার। তবে গর্ভবতী এবং শিশুদের এ হাসপাতালে একটু বেশিই পরিচর্যা করা হয়।

তিনি জানান, এ হাসপাতালে প্রায় প্রতি মাসেই একটি করে ফ্রি ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়। আর চলতি এ ক্যাম্পে গত ১৩ দিনে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার মানুষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৮
এইচএমএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad