ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

ঘুমের স্বল্পতা বাড়ায় রোগের ঝুঁকি

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২২ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৮
ঘুমের স্বল্পতা বাড়ায় রোগের ঝুঁকি প্রতীকী ছবি

অনিয়মিত ঘুম দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা যায়, ঠিকমতো না ঘুমানোর ফলে বেড়ে যায় দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি। 

রাতে কেবল এক ঘণ্টা কম ঘুমালে তা ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের ঝুঁকি, মানসিক চাপ, প্রদাহসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি এক রাতের অঘুমও আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে।

 

ঘুমের স্বল্পতা দেহের পাশাপাশি মনের ওপরও প্রভাব ফেলে এবং শেষপর্যন্ত এর ফলে প্রভাব পড়ে  দৈনন্দিন কর্মজীবনে। মেজাজ হয়ে ওঠে খিটখিটে। খিটখিটে মেজাজের কারণে অনেক সময় সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। নিয়মিত ঘুমানো এজন্যেই অত্যন্ত জরুরি। ঘুম নিয়মিত হলে স্বাস্থ্য এবং মন উভয়ই ভালো থাকে।  

ঘুমের ব্যাঘাত সম্পর্কে বিজ্ঞান যা বলে
যুক্তরাষ্ট্রের ঘুম সম্পৃক্ত একটি গবেষণা সংস্থা জানায়, প্রতিটা মানুষের অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত যা স্বাস্থ্য এবং মানসিক অবস্থা ঠিক রাখে। ছয় ঘণ্টার কম ঘুমানোর ফলে দেখা দেয় বিভিন্ন রোগ। কমে যায় সৃজনশীলতা। ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস, পাকস্থলীতে ব্যথা বেড়ে যায়। সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় দেখা দেয় ঝুঁকি। স্মরণশক্তি কমিয়ে দেয়, নষ্ট হয় ত্বকের সৌন্দর্য। ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের সম্ভাবনা ঘটতে পারে এই অঘুম কিংবা ঘুমের কমের জন্য।  

যেকোনো বয়সেই দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিস
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্বল্প ঘুমের ফলে শিশুদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে ডায়াবেটিস। একদল ব্রিটিশ চিকিৎসক নয় থেকে দশ বছরের প্রায় ৪৫০০ শিশুকে নিয়ে গবেষণা করেন। তাদের পরিবারের মানুষজন থেকে জেনে নেওয়া হয় তাদের ঘুমের সময়সূচি।  

গবেষকদের মতে প্রতিটা শিশুকে রোজ নয় থেকে বার ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।  

ব্রিটিশ গবেষক ক্রিস্টোফার ওয়েন নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে বলেন, শিশুরা যেন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন এতে তাদের সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে।  

ঘুমের পরিমাণ বাড়ানোর কৌশল
মূলত ঘুমের বিকল্প কিছু নেই। ঘুম আসার জন্য ঘুমের ওষুধ খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই কিছু সাধারণ কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে।
 
১. রাতে ওয়াইফাই কিংবা মোবাইল ফোনের ডাটা কানেকশন বন্ধ রাখুন। মূলত প্রয়োজন ছাড়া কখনোই এসব ডিভাইস চালু রাখা ঠিক না। চব্বিশ ঘণ্টা এসবের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানসিক অবস্থার জন্য ক্ষতিকর।

২. সব ঘর অন্ধকার করে ঘুমান। অন্ধকারে বেশি ভয় পেলে হালকা নীল রঙের বাল্বের ব্যবস্থা করতে হবে।

৩. সবধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ঘুমানোর সময় মাথার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন।
 
৪. অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস বন্ধ করুন। অ্যালার্মের শব্দে চকিত হয়ে ওঠা মানসিক অবস্থার জন্য ক্ষতিকর।  

৫. দেয়ালের সঙ্গে মাথা ঠেকিয়ে ঘুমাবেন না। বিছানা দেয়াল থেকে তিন হাত দূরে রাখার চেষ্টা করবেন।

৬. ঘুমানোর একটা রুটিন করে নেন।  

৭. সকাল অথবা বিকেলের রোদে কিছুক্ষণের জন্য হলেও থাকার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে সকালের রোদ দেহকে প্রফুল্ল করে তোলে।
 
৮. প্রতিদিন ব্যায়াম করবেন।

৯. ঘরে ঠাণ্ডা পানি রাখবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৮
এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।