ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

তারার ফুল

আমার ছেলে চলচ্চিত্রে কাজ করতে চাইলে আপত্তি নেই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭
আমার ছেলে চলচ্চিত্রে কাজ করতে চাইলে আপত্তি নেই চিত্রনায়িকা শাবনূর, (ছবি: বাংলানিউজ)

ঢাকা: অসংখ্য হিট-সুপারহিট ছবি দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিকে করেছেন সমৃদ্ধ। যাকে বাংলাদেশের মানুষ এক নামেই চেনেন। তিনি শাবনূর। বর্তমান সময়ে চলচ্চিত্র থেকে বহু দূরে ‘দুই নয়নের আলো’ খ্যাত গুণী এই অভিনেত্রী।

কিন্তু ভক্তরা তাকে এখনও স্মরণ করেন। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) তার জন্মদিন।

চলচ্চিত্র, বর্তমান ব্যস্ততা এবং জন্মদিন নিয়ে দুপুরে বাংলানিউজের মুখোমুখি হন শাবনূর।

বাংলানিউজ: জন্মদিন কেমন কাটাচ্ছেন?

শাবনূর: গতকাল রাত থেকেই প্রচুর শুভেচ্ছা পাচ্ছি। অনেকে ফোন করেছেন। অনেকে আবার দেখা করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। আমার ছোটবেলার বন্ধু, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন সবাই সারপ্রাইজ দিচ্ছেন। ফুল, কেক ও বিভিন্ন রকম খাবার নিয়ে অনেকে আবার বাসায় হাজির। তারা নিজেরাই রান্না করে সবাই মিলে খাচ্ছেন, আনন্দ করছেন। পুরো বিষয়টি খুব উপভোগ করছি। সবাই এতো ভালোবাসেন, এর জন্য আমি সবার প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ।

বাংলানিউজ: জন্মদিনে কোনো আয়োজন রেখেছেন?

শাবনূর: না। আমার মা- বোন ও ভাইয়ের কাছে বেড়াতে অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন। ফলে এবার কোনো আয়োজন রাখিনি।

বাংলানিউজ: জীবনের সেরা/স্মরণীয় জন্মদিন কোনটা ছিল?
 
শাবনূর: আলাদা করে বলা কঠিন। তবে একবার মতিন রহমান পরিচালিত ‘এই মন চায় যে’ ছবির সেটে অবাক করা একটা ব্যাপার ঘটে। ছবিটির শ্যুটিং চলছিল এক জমিদার বাড়িতে। তখন আমাকে না জানিয়ে জন্মদিনে বাড়ির ভেতরে, সিঁড়িতে মোমবাতি ও ফুল দিয়ে সাজানো হয়। কেক এনে শ্যুটিং ইউনিটের সবাই মিলে আমাকে সারপ্রাইজ দেন। সে দিনটির কথা এখনও মনে পড়ে।

বাংলানিউজ: জন্মদিনে সবচেয়ে মূল্যবান উপহার কী পেয়েছেন?

শাবনূর: এই ছোট্ট জীবনে অনেক উপহার পেয়েছি। তবে আমার কাছে মা-বাবা’র জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোটা সবচেয়ে বড় উপহার মনে হয়।

বাংলানিউজ: ছোট্ট জীবনে কোনো অপূর্ণতা...

শাবনূর: যখন যা চেয়েছি তার চেয়েও বেশি পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ জীবনে অপূর্ণ আর কিছু নেই।  

বাংলানিউজ: কতোদিন বেঁচে থাকতেন ইচ্ছে করে?

শাবনূর: অপরূপ সুন্দর এই পৃথিবীতে মরতে চাই না। তবুও প্রকৃতির নিয়মে একদিন চলে যেতে হবে। আমি আসলে বুড়ো হতে চাই না। কোনো রোগ বা কষ্ট পেয়েও মরতে চাই না। যতোদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকা যায় ততোদিন থাকতে চাই।  

বাংলানিউজ: আপনার ব্যস্ততা এখন কী নিয়ে?

শাবনূর: আগের চেয়েও বেশি ব্যস্ত আমি। আমার ছেলে ও পরিবার নিয়ে অনেক ব্যস্ত সময় কাটে। তাছাড়া সিডনি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল নামে একটা স্কুল আছে। সেটা নিয়ে প্রচুর ব্যস্ত থাকি।

বাংলানিউজ: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

শাবনূর: ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা। চলচ্চিত্র বানাবো, নিজেও কাজ করবো। তাছাড়া আমার একমাত্র ছেলে আইজান এবার চার বছরে পা দিচ্ছে। ওকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে তৈরি করতে চাই।

বাংলানিউজ: আইজান যদি চলচ্চিত্রে কাজ করতে চায়, তাহলে আপনি মত দেবেন? 

শাবনূর: কে কখন কি করে সেটা আগে থেকেই বলা মুশকিল। আমি আগে কখনোই জানতাম না যে চলচ্চিত্রের নায়িকা হবো। পাইলট হতে চেয়েছিলাম, হলাম নায়িকা। চলচ্চিত্রে কাজ করবে কি; করবে না, এটা ওর (আইজান) একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার দায়িত্ব আইজানকে পড়াশোনা করিয়ে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে প্রস্তুত করে দেওয়া। ও যদি চলচ্চিত্রে কাজ করতে চায়, তাহলে করবে।

বাংলানিউজ: অভিনয়ে ফিরছেন কবে?

শাবনূর: এখনই চাইলে কিছু কাজ শুরু করতে পারি। কিন্তু আমি বেশ মোটা হয়ে গেছি। এ অবস্থায় পর্দায় ফিরতে চাচ্ছি না। তাই স্লিম হয়ে নিজেকে ঠিক করে আবার অভিনয় শুরু করবো। সেজন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছি।

বাংলানিউজ: আপনার ভক্ত ও দর্শকদের কী বলবেন?
 
শাবনূর: সবার কাছে আমার এবং পরিবারের জন্য দোয়া চাই।

শাবনূরের একটি জনপ্রিয় গান​

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭
জেআইএম/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।