ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যুতে দরপতনের বৃত্তে পুঁজিবাজার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যুতে দরপতনের বৃত্তে পুঁজিবাজার

ঢাকা: নির্বাচনী বছরে পুঁজিবাজার ভাল থাকবে এবং বিনিয়োগ করলে মুনাফা হবে, এমন প্রত্যাশায় গত বছরের শেষ দিকে ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী আব্দুল ওহাব।

ছয়টি কোম্পানির শেয়ারে ওই টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি। আগে তার বিনিয়োগ ছিলো ৩ লাখ টাকা।

সব মিলিয়ে পুঁজিবাজারে তিনি বিনিয়োগ করেন ৮ লাখ টাকা। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ২ লাখ টাকা লাভসহ তার মোট বিনিয়োগ দাঁড়ায় ১০ লাখ টাকায়।

কিন্তু চলতি বছরের শুরু থেকে একের পর ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হয় দরপতন। আর সেই দরপতনে তার মূলধন নেমে এসেছে ৬ লাখ ১৭ হাজার টাকায়। অর্থাৎ দেড় থেকে দুই মাসে ১০ লাখ টাকা থেকে নেই হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টাকা।

আবদুল ওহাব বাংলানিউজকে বলেন, লাভ তো দূরের কথা, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে লসে আছি। সরকার কি এসব দেখে না? 

তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায়ের কারণে সবার মার্কেট খারাপ গেছে। খালেদার রায় তো শেষ, এখন এ অবস্থা কে সৃষ্টি করছে?

নাম না প্রকাশের শর্তে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য বাংলানিউজকে বলেন, গত ১৫ দিনে ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা থেকে ৮৫ লাখ টাকায় নেমেছে মূলধন। হয়তো বাড়বে, তাই শেয়ার বিক্রি করিনি। এখন দিনদিন লোকসান হচ্ছে। ফলে আমাদের হাউজ চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি।

বাজার পর্যালোচনা দেখা গেছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সীমা অতিক্রম করায় কয়েকটি ব্যাংককে জরিমানা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জরিমানার ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হয় দরপতন। এরসঙ্গে যোগ হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারি-জুন এই ছয় মাসের মুদ্রানীতি ঘোষণা। এরপর ব্যাংকগুলোর ঋণ-আমানতের অনুপাত (এডিরেশিও) কামানোর পাশাপাশি খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার রায়কে কেন্দ্র করে শুরু হয় দরপতন। সেই ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আবারও শুরু হয়েছে দরপতন।

এবারের দরপতনের ইস্যুটা হচ্ছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার (কৌশলগত বিনিয়োগকারী) অনুমোদন। ডিএসইর পর্ষদ চীনা কনসোর্টিয়ামকে অনুমোদন দেয় আর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চাচ্ছে ভারতীয় কোম্পানিকে অনুমোদন দিতে।  ফলে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে (রোববার, ১৮ ফেব্রুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৯৯ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের সার্বিক বিষয়ে ডিএসইর সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, এডিরেশিও কমানোর কেন্দ্র করে বেশি কিছুদিন দরপতন হয়েছে। আর এখন দরপতন হচ্ছে ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনকে কেন্দ্র করে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮,
এমএফআই/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।