ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

কৃষি

মরিচে হাসি ফুটছে কৃষকের মুখে

ফজলে ইলাহী স্বপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৮
মরিচে হাসি ফুটছে কৃষকের মুখে ক্ষেতজুড়ে লাল-সবুজ মরিচের সমাহার/ছবি: বাংলানিউজ

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে কৃষকের মুখে ফুটেছে প্রশান্তির হাসি।

মরিচ চাষে শুধু চাষিরাই লাভবান হননি, বেশি দাম পাওয়ায় লাভবান হয়েছেন কৃষক-দিনমজুর-ব্যবসায়ীরা।

উপজেলার ধরলা নদীর অববাহিকায় গজেরকুটি, বালাহাট, নাওডাঙ্গা, গোরকমন্ডপ, চরগোড়কমন্ডল, বালাটারি, কুরুষা-ফেরুষা এলাকার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ জমিতে করা হয়েছে মরিচের আবাদ।

লাল-সবুজে ছয়লা মরিচের ক্ষেত। কেউ মরিচ ক্ষেত পরিচর্যা করছেন, কেউ মরিচ তুলছেন আবার কেউ বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন।

বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় মরিচ চাষ করেই স্বাবলম্বী হয়েছে এ এলাকার অনেক চাষি পরিবার। আবার যাদের জমি নেই, তারা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে মরিচ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

চলতি মৌসুমে কৃষকের কাছ থেকে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় মরিচ ক্ষেত কিনে পাইকাররা বিঘাপ্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করছেন। পরে কুড়িগ্রাম জেলা শহর ও লালমনিরহাট শহরের বাজারগুলোতে প্রতি মণ মরিচ ১৮০০/১৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের মরিচ চাষি মজিবর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এ বছর আট বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন তিনি। প্রতি বিঘায় তার খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা মরিচ ক্ষেত ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি।

উপজেলার গজের কুটি গ্রামের নারী দিনমজুর অজুক বেওয়া, হাসিনা বেগম ও খালিসা কোটালগ্রামের মর্জিনা বেগমের মরিচ ক্ষেতে কাজ করেন। তারা জানান, এবার মরিচের আবাদ ভালো হওয়ায় মালিক দাম বেশি পাচ্ছে। আমরাও বাড়ির কাছে মজুরির কাম কইরা সংসার চালাইতেছি।

স্থানীয় পাইকার মুসা মিয়া ও শ্যামল দেব জানান, চলতি মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকায় ১৪ বিঘা মরিচ ক্ষেত কিনেছি। এখন পর্যন্ত ৬ লাখ কাটার মরিচ বিক্রি করছি। প্রতিদিনেই ১৫ থেকে ২০ জন নারীশ্রমিক ক্ষেতে মরিচ তোলার কাজ করেন। প্রতি বিঘায় খরচ বাদে ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুবুর রশিদ জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার  মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে উচ্চ মূল্য থাকায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। আমরা প্রতিটি কৃষককে সার বীজসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করেছি। বেশি করে মরিচ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করায় ব্যাপক সফলতা এসেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৮
এফইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।