ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘খেলাপি ঋণ ইজ ভেরিমাচ সিরিয়াস প্রবলেম’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
‘খেলাপি ঋণ ইজ ভেরিমাচ সিরিয়াস প্রবলেম’ বাংলাদেশ ব্যাংকের কনফারেন্স হলে আয়োজিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবির

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির বলেছেন, ‘খেলাপি ঋণ, ইট ইজ এ ভেরিমাচ সিরিয়াস প্রবলেম, নো ডাউট অ্যাবাউট ইট। ইট ইজ ভেরি মাচ প্রবলেম উই আর কনসার্ন।’

বুধবার (২২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথভাবে আয়োজিত কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট ও পেমেন্ট সিস্টেম বিষয়ে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গর্ভনর এসব কথা বলেন।

গর্ভনর এ সময় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের শেষে খেলাপি ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৬ শতাংশ, জুন মাসের শেষে ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং মার্চে ছিল ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

ফজলে কবির বলেন, হঠাৎ করেই দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়েনি। এটা দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। এ সময় তিনি গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন সর্ম্পকে বলেন, যেটা সঠিক সেটা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কমেন্টস নিয়ে করলেও সঠিক, না করলেও সঠিক। কিন্তু যেটা মিথ্যা সেটা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কমেন্টস নিয়ে লিখলেও ভুল।

বাংলাদেশের পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ে বক্তব্য দেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক লীলা রশিদ, মুদ্রা বিনিময় হার নির্ধারণ নিয়ে বক্তব্য দেন প্রধান অর্থনীতিবিদ ফয়সাল আহমেদ।

ব্যাক, আরটিজিএস, এনপিএসবি ও এমএফএস নিয়ে আলোচনা করেন নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা, যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ গোলাম শাহ জারুল আলম, কাজী আবদুল মান্নান ও শাহ জিয়াউল হক।

কর্মশালায় জানানো হয়, পেমেন্টে সিস্টেমকে আরো আধুনিক করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বেশি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সামনে আরো কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এরফলে লেনদেন আরো সহজ হবে। এর মধ্যে একটি হলো, ই-চালান ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম চালু করা। এটি ২০১৯ সালের মধ্যে চালু হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া ন্যাশনাল গেটওয়ে সিস্টেমও ২০২০ সালের মধ্যে চালু হবে বলে জানানো হয়।

মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে বলা হয়, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন এখনও অনেক ব্যয়বহুল। এর কারণ দেশে এখনও এ খাতে প্রতিযোগিতা তৈরি হয়নি। আগামীতে যাতে প্রতিযোগিতা তৈরি হয় সেজন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নীতিমালাকে আরো যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এটি হলে হয়তো খরচ কমে আসবে।

জাল নোট প্রতিরোধে বলা হয়, দেশে এখনও জালনোট বিষয়ে তেমন কোন আইন নেই। এখন পর্যন্ত জালিয়াতি আইনেই মামলা হচ্ছে। এর সমস্যাও রয়েছে। তাই এ বিষয়েও একটি আইন করা হচ্ছে। যা বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এটি হলে জালনোট তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ধরা পড়বে এবং তাদের শাস্তি হবে। এখন যেমন সাধারণ মানুষও জাল নোটসহ ধরা পড়লে সমস্যায় পড়ে। তেমনটা হবে না।

পরে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, না জেনে আন্দাজে ঢিল দিলে কাঁচা ও পাকা আম দুটোই পড়তে পারে। কিন্তু জেনে বুঝে ঢিল দিলে শুধু পাকা আমই পড়বে।

রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রেও সেরকম। জেনে বুঝে রিপোর্টিং করলে সবার জন্যই ভাল। এজন্য ব্যাংকিং বিষয়ে জানতে হবে। এ ধরনের কর্মশালায় সেটা সম্ভব। তাই আমরাও আগ্রহ নিয়ে কর্মশালাগুলোর আয়োজন করে থাকি। তিনি বলেন, মিডিয়া এখন অনেক দায়িত্বশীল হয়েছে। রিপোর্টিংয়ের ভুলগুলো কম হচ্ছে। এ ধরনের কর্মশালাগুলো চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে এ সমস্যাগুলো আরো থাকবে না।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান, ইআরএফ’র সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এসই/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।