ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

এখনও আগুন সবজি ও পেঁয়াজের দরে

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এখনও আগুন সবজি ও পেঁয়াজের দরে কারওয়ানবাজার কাঁচাবাজারে একটি সবজির দোকান

ঢাকা: সবজি ও পেঁয়াজের বাজার দরের অস্থিরতা গত এক মাস ধরেই দেখে আসছেন ক্রেতারা। আবহাওয়ায় শীতের আমেজ পড়লেও কাঁচাবাজারে সবজির দরে লাগেনি শীতের হাওয়া। তবে চলতি মাসে প্রথম সপ্তাহ থেকে পেঁয়াজের দাম না কমলেও মাসের ২য় সপ্তাহ থেকে কিছুটা কমতে শুরু করেছে দাম।

পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ ও সবজির দর কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে এখনও তার প্রতিফলন নেই বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।   

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, হাতিরপুল কাঁচাবাজার ও শুক্রাবাদ কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।

সর্বশেষ সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি ধনিয়াপাতা ২০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা থেকে ৫০ টাকা,  কাঁচামরিচ ২০০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা থেকে ২০ টাকা, সিম ১৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, গাজর ৭০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি ৩৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা, প্রতিপিস ফুলকপি ৩৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা ও আলু ২৫ টাকা থেকে ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন,পাইকারি বাজারে শীতের সবজির আমদানির কারণে দাম কিছুটা কমেছে। তবে খুচরা বাজারে দাম এখনও স্বাভাবিক হয়নি। কিন্তু আশা করা যায় চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সবজির দাম কমা শুরু হতে পারে।

হাতিরপুল কাঁচাবাজার সবজি বিক্রেতা রবিউল আলম বাংলানিউজকে বলেন,শীতে প্রচুর সবজি উৎপাদন হয়, ফলে দামও কমে যায়। বাজারে শীতের সবজি আসার প্রভাব কিছুটা পড়ছে, কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। তবে আশা করা যায় সামনের সপ্তাহ থেকে দাম কিছুটা কমবে।

সর্বশেষ খুচরা বাজার দর অনুযায়ী, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা থেকে ৭০ টাকায় ও ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা করে কেজি বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা লিটন বাংলানিউজকে বলেন, আমদানি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। আশা করা যায় সামনে পেঁয়াজের দাম কমবে। তবে খুব দ্রুত দাম স্বাভাবিক হবে না বলে জানান তিনি।

এদিকে বাজারে চালের দামে লাগা আগুন এখনও নেভেনি। হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া বাজারে দর আটকে আছে এক জায়গাতে। প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা করে। এছাড়া প্রতিকেজি মিনিকেট ৬০ টাকা,  বিআর-২৮ কেজিপ্রতি ৫০-৫৫ টাকা ও স্বর্ণা ও পারিজা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা।

অপরিবর্তিত রয়েছে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও মাছ মাংসের  দাম।

মাছের সর্বশেষ বাজার দর প্রতিকেজি কাতল মাছ ২৮০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১৩০ টাকা, রুই মাছ ২৩০-৩০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৪০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা ও বোয়াল ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার রয়েছে গত সপ্তাহের দরে অনুযায়ী। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগী ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কক মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০,২০১৭
এমএসি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।