ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ব্যাংকিং

ব্যাংক কমাতে ৭২ শতাংশ ব্যাংকারের সম্মতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
ব্যাংক কমাতে ৭২ শতাংশ ব্যাংকারের সম্মতি ব্যাংকের সংখ্যা কমাতে ৭২ শতাংশ ব্যাংকারের সম্মতি

ঢাকা: দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর ৭২ শতাংশ কর্মকর্তা মনে করেন বর্তমানে যে পরিমাণ ব্যাংক রয়েছে তা কমাতে হবে।আবার ১১ শতাংশ কর্মকর্তার মতামত ব্যাংকের সংখ্যা ঠিক আছে। এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ১৭ শতাংশ ব্যাংকার।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) উদ্যোগে করা ব্যাংক মার্জার ও অ্যাকুইজিশন বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে এক্সপ্লোরিং মার্জার অ্যান্ড অ্যাকুইজিশন ইন দ্য কনটেক্স অব দ্য ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালায় এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংক মার্জারের ক্ষেত্রে যে সব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো- সুশাসনের অভাব, বোর্ডের গোপন সুবিধা, রাজনৈতিক দুর্বলতা, মানসিকতার পরিবর্তন, পরিচালকদের দুর্বলতা, নেতৃত্ব এবং কৌশলগত চ্যালেঞ্জ।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক মো. মহিউদ্দিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটিপ্রতিনিধি দল।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী।

এসময় তিনি বলেন, উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে মার্জারের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশে এ ধারণা কিছুটা নতুন। তবে মার্জারের জন্য যেকোনো সময় আমরা প্রস্তুত আছি। এ বিষয়ে আমরা একটা গাইডলাইন করেছি।

উন্মুক্ত আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, বিদেশে ব্যাপকহারে মার্জার হচ্ছে। সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বড় হওয়ার জন্য মার্জার করে থাকে। তবে আমাদের দেশে ছোট ব্যাংকগুলোর ধারণা বড়দের সঙ্গে মার্জার হলে বড়রা তাদের খেয়ে ফেলবে। বিডিবিএলেরর ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে সেটা হলো দুটো খারাপ প্রতিষ্ঠান মিলে নতুন একটি খারাপ প্রতিষ্ঠানের জন্ম দিয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি এক্সিট পলিসি (বর্হিগমন নীতি) থাকা দরকার। কোনো ব্যাংক খারাপ করলে তাকে এ নীতির মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, মার্জার সবসময় খারাপ হয়না। এর ইতিবাচক দিকগুলো দেখতে হবে। আমাদের গ্লোবালাইজেশনের অংশ হতে হলে মার্জারে যেতে হবে।

বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ইয়াছিন আলি বলেন, সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলো চালাতে না পারে তাহলে এগুলো প্রাইভেট সেক্টরে ছেড়ে দেওয়া উচিত। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে আর্থিক খাতের ৮০ শতাংশ সমস্যা সমাধান সম্ভব।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশি-বিদেশি ৬১টি ব্যাংক রয়েছে। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি সরকারি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। এসব ব্যাংক নিয়ে সরকারও উদ্বিগ্ন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিভিন্ন সময় বলেছেন, ব্যাংক দেউলিয়া ও একীভূতকরণ আইন সংশোধন করতে হবে। ব্যাংক মার্জার করতে প্রস্তুত থাকবে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এসই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।