মঙ্গলবার (১৭ জু্লাই) নগরের খুলশী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ডিআইজি বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো কুচক্রীমহল যাতে অাইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সে লক্ষ্যে কাজ করবো।
মাদকের ভয়াবহতা রোধ ও রেঞ্জ পুলিশের অধীনে বিভিন্ন ইউনিটে শৃঙ্খলা আনতে কাজ করবেন বলে জানান ডিআইজি।
পু্লিশ সিভিল মাস্টার নয়, সিভিল সার্ভেন্ট বলে মন্তব্য করেছেন খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, আমরা প্রকৃতপক্ষে জনগণের সেবক। কিন্তু আমরা অনেকে যখন বড় পদে (এসপি, ডিআইজি) যাই তখন তা ভুলে যাই। আপনারা সাংবাদিকরা তাদের (পু্লিশকে) দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে মনে করিয়ে দেবেন। প্রয়োজনে তাদের লাগাম টেনে ধরবেন।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পু্লিশ আর সাংবাদিকদের কাজ একই। সত্যের অনুসন্ধানে কাজ করি। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য থাকে, আপনারা সে তথ্য প্রচার করেন।
ডিআইজি বলেন, পু্লিশ বিভাগের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামে দায়িত্ব-কর্তব্য অনেক বেশি। এখানে সমস্যাও অনেক। এসব সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
মাদকের বিষয়ে নতুন ডিআইজি বলেন, মাদকের ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। মাদকের সঙ্গে পুলিশের কেউ জড়িত থাকলে তার চাকরি থাকবে না।
বিভিন্ন থানার যেসব ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তা তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
সভায় অতিরিক্ত ডিআইজি রোকন উদ্দিন, অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল ফয়েজ, জেলা পু্লিশ সুপার নুরেআলম মিনা, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলাম সরওয়ার, সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, অতিরিক্ত পু্লিশ সুপার রেজাউল মাসুদ, অতিরিক্ত পু্লিশ সুপার মহিউদ্দীন মাহমুদ সোহেল, অতিরিক্ত পু্লিশ সুপার একেএম এমরান ভুঁঞা, অতিরিক্ত পু্লিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের অতিরিক্ত পু্লিশ সুপার সারোয়ার আলম, অতিরিক্ত পু্লিশ সুপার মাহমুদা আক্তার সোনিয়া সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার গোলাম ফারুক ১৫ জুলাই চট্টগ্রাম রেঞ্জে ডিআইজি হিসেবে যোগদান করেন। তিনি এর আগে রংপুর রেঞ্জে ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৮
এসকে/টিসি