আবদুর রহিম ১৯৯৮ সাল থেকে এই সড়কে কখনো সহকারী, কখনো সুপারভাইজার আর এখন বাস চালক হিসেবে কাজ করছেন।
শনিবার (২৬ মে) দুপুরে কালামিয়া বাজার এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শনকালে আবদুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, গত এক বছর ধরে খুব কষ্ট পাচ্ছি এ সড়কে।
চট্টগ্রাম: বহদ্দারহাট থেকে শাহ আমানত সংযোগ সেতু (নতুন ব্রিজ) পর্যন্ত সড়ক পাড়ি দিতেই এখন অন্তত এক থেকে দেড় ঘণ্টা লেগে যায়। কোনো সময় ইফতার না করেই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বসে থাকতে হয়। বলছিলেন বাস চালক আবদুর রহিম।
আবদুর রহিম ১৯৯৮ সাল থেকে এই সড়কে কখনো সহকারী, কখনো সুপারভাইজার আর এখন বাস চালক হিসেবে কাজ করছেন।
শনিবার (২৬ মে) দুপুরে কালামিয়া বাজার এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শনকালে আবদুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, গত এক বছর ধরে খুব কষ্ট পাচ্ছি এ সড়কে।
একই অভিযোগ হানিফ পরিবহনের চালক আবু সৈয়দ ও ৪ নম্বর রোডের হিউম্যান হল্যার চালক সোহেল আহমদের।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম, পর্যটননগরী কক্সবাজার ও বান্দরবান যাওয়ার প্রধান সড়ক বহদ্দারহাট থেকে শাহ আমানত সংযোগ সেতু (নতুন ব্রিজ)। বহদ্দারহাট থেকে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত ১৫ মিনিটের পথ। অথচ এখন সেই পথ পাড়ি দিতেই কি না অন্তত এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে।
বহদ্দারহাট থেকে শাহ আমানত সংযোগ সেতু (নতুন ব্রিজ) হয়ে আনোয়ারা ক্রসিং পর্যন্ত সাড়ে ৮ কিলোমিটার সড়কে মাল্টিলেনের (তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু অপ্রোচ রোড প্রজেক্ট চট্টগ্রাম) কাজ চলছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ মাল্টিলেনের কাজটি বাস্তবায়ন করছে।
২০১৭ সালের মার্চে এই মাল্টিলেনের কাজ শুরু হয়। এবছরের সেপ্টেম্বর মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
শনিবার (২৬ মে) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে মাল্টিলেনের কাজ চলছে। কাজের সরঞ্জামগুলো রাখা হয়েছে সড়কের মাঝখান বরাবর। সরু সড়কের দু’পাশে এক লাইনে চলছে গাড়িগুলো। সড়কে ছোট ছোট খানাখন্দও দেখা গেছে কিছু অংশে। দুপুরের দিকে নগরের কালামিয়া বাজার থেকে রাজাখালী পর্যন্ত সড়কে যানজট দেখা গেছে।
সামান্য বৃষ্টি হলে এ সড়কে যানবাহন চলাচল দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে জানিয়ে স্থানীয় আবু সাঈদ বাংলানিউজকে বলেন, রাহাত্তারপুল, কালামিয়া বাজার অংশে চলাচল পুরোপুরি অযোগ্য। সড়কের কাজ চলছে ধীর গতিতে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আর কয়েকদিন পর কষ্টের সীমা থাকবে না।
সড়কে চলাচলের জন্য ভরাট করার পর ইটের সুড়কি ফেলে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করা হলেও বৃষ্টির পানিতে তা নষ্ট হয়ে যায়।
বহদ্দারহাট থেকে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত ৪টি সেতু ও ১টি কালভার্ট নির্মাণ কাজ চলছে দেখা যায়। এছাড়া মইজ্যারটেক থেকে আনোয়ারা ক্রসিং পর্যন্ত সাতটি কালভার্ট নির্মাণের কাজ ও চলমান রয়েছে।
দুপুর ১টায় মইজ্যারটেকের পর চরফরিদ এলাকার হযরত তৈয়ব শাহ সিএনজি স্টেশনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, এই সড়কের ২৭০ মিটার অংশে পিচ কার্পেটিং এর কাজ শুরু হয়েছে।
সেখানে উপস্থিত তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু অপ্রোচ রোড প্রকল্পের পরিচালক তারেক ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পের কাজ চলছে। যথাসময়ে শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর সেপ্টেম্বরে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
প্রকল্পের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণ হিসেবে এ কর্মকর্তা প্রতিকূল আবহাওয়াকে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
এসকে/টিসি