ফলে রমজান মাসে নগরের কোথাও কোথাও নারীরা লাকড়ি দিয়ে রান্না-বান্না সারছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরের পাঁচলাইশ থানা, চান্দগাঁও, চকবাজার, বাদুরতলা, কোতোয়ালী, বায়েজিদ বোস্তামি থানাসহ প্রায় জায়গায় এখন চরম গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে।
কহিনুর আক্তার থাকেন বাকলিয়া বড়মিয়া মসজিদ এলাকায়।
নগরের আসকারদিঘীর পূর্ব পাড়ের বাসিন্দা রুমি আক্তার বলেন, ‘বিকেল থেকে গ্যাস না থাকায় লাকড়ি দিয়ে মাটির চুলায় ইফতারের নাস্তা তৈরি করতে হচ্ছে। সেহরীর সময় বেশিরভাগ দিনই হোটেল থেকে এনে খাই। ‘
একই অভিযোগ পাঁচলাইশ থানার বাসিন্দা লাকি আক্তারের। তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে ১০ জনের সংসার। সবকিছু বাসায় রান্না করতে হয়। গ্যাস না থাকায় মাটির চুলা লাকড়ি দিয়ে রান্না করছি। সারাদিন রান্না করতে গিয়ে অনেক কষ্টে আছি।
এদিকে হোটেলে হঠাৎ কাস্টমারের চাপ বেড়ে গেছে। কারণ জানতে চাইলে চকবাজার চকমালঞ্চ হোটেল কর্মচারীরা জানায়, গ্যাস না থাকায় বাসাগুলোতে রান্নাবান্না হচ্ছে না। তাই হোটেলে খাবারের জন্য ভিড় লেগে যায়।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটিডের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, এক সপ্তাহ ধরে গ্যাস সংকটে ভুগছে নগরবাসী। এ পর্যন্ত ৩০টি ওয়ার্ডের মানুষ গ্যাস সংকটে পড়েছেন বলে অভিযোগ দিযেছেন।
বিষয়টি স্বীকার করে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটিডের ডিজিএম ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল রহমা্ন বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন শিল্প কারখানা, সিএনজি স্টেশন ও গৃহস্থালির কাজে একই সময়ে গ্যাসের চাহিদা থাকার কারণে গ্যাসের এ তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কিছুটা হলেও সংকট দূর করতে সিএনজি স্টেশনগুলোকে সকাল ৫টা থেকে ১১টা পর্যন্ত গ্যাস নিতে দেওয়া হচ্ছে। আরও কয়েকদিন নগরজুড়ে গ্যাস সংকট থাকবে। মঙ্গলবার (২৯ মে) থেকে আশা করছি গ্যাস সংকট থাকবে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
জেইউ/টিসি