কিন্তু জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত ক্যান্ডি থেকে বের হওয়ার ১০ মিনিটের মাথায় অাবার এসব ইফতার বিক্রি শুরু করে তারা। বিষয়টি জানতে পেরে দ্বিতীয়বার ক্যান্ডিতে হানা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তবে এতেও কাজ হয়নি! ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে দোকানের একটি দরজা (শাটার) বন্ধ করে কিছুক্ষণ বিক্রি বন্ধ রাখলেও ম্যাজিস্ট্রেট স্থান ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে আবার বিক্রি শুরু করে তারা।
বৃহস্পতিবার (২৪ মে) বিকেল ৫টায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে এভাবেই ‘চোর-পুলিশ’ খেলে নগরের জিইসি মোড়ের খাবারের দোকান ক্যান্ডি। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম নেতৃত্ব দেন। এতে সহযোগিতা করে নগর পুলিশ, বিএসটিআই, ক্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
এদিকে একই সময়ে জিইসি মোড়ের মোহাম্মদিয়া হোটেলে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। হোটেলটিতে তখন অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে ইফতার তৈরি ও বিক্রি হচ্ছিল। এছাড়াও হোটেলের রান্না ঘরে গিয়ে পচা রুপচাঁদা মাছ ও ডিম পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে হোটেলটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার নগরের জিইসি মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ক্যান্ডিকে ১৫ হাজার টাকা ও মোহাম্মদিয়া হোটেলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থ ও জনস্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনা করে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
এমআর/টিসি