সবার চোখজোড়া কিছুক্ষণ পর পর আকাশে। কান খাড়া করে শোনার চেষ্টা।
বুধবার (২১ মার্চ) বেলা ২টা ৪০ মিনিটে সাদা রঙের একটি হেলিকপ্টার অবতরণ করে হেলিপ্যাডে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের পশ্চিম পাশের বিলে তখন মানুষের ছোটাছুটি। চোখের পলকে হাজার হাজার মানুষ সড়কের ওপর। কেউ কেউ অবস্থান নেন পাশে স্তূপ করে রাখা বিদ্যুতের খুঁটির ওপর। ছোটরা খুশি। জীবনে প্রথম হেলিকপ্টার দেখতে পেয়ে। কিন্তু মন ভরেনি বড়দের। ওই হেলিকপ্টারে ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী। তাদের চোখ তখনও আকাশের দিকে।
আবারও অপেক্ষার পালা। সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে আছেন সবাই। কেউ কেউ বসে পড়েছেন পিচঢালা তপ্ত সড়কের ওপর।
আবদুস শুক্কুর নামের স্থানীয় এক যুবক বললেন, হেলিকপ্টার দেখতে আসিনি। আমি দেখতে এসেছি মানবতার মা’কে, বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে। তিনি কখন আসবেন কে জানে!
বেলা ২টা ৫৩ মিনিটে আবার হেলিকপ্টারের গর্জন শোনা গেল। প্রথমটির চেয়ে অনেক উঁচুতে। সেটি দুই মিনিট পর অবতরণ করল হেলিপ্যাডে। কিছুক্ষণ পর একটি গাড়ি এগিয়ে গেল হেলিকপ্টারের কাছে। সবাই দেখলেন হেলিকপ্টার থেকে একজন ‘মা’ নামলেন। হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানালেন অপেক্ষমাণ জনতাকে। মুহূর্তের মধ্যেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ধরলেন জনতা। জবাব দিলেন ভালোবাসার, মমতার।
এ সময় কথা হয়, ষোড়শী পরি বানুর সঙ্গে। বললেন, জীবনে প্রথম কাছ থেকে হেলিকপ্টার দেখেছি। এটা আনন্দের। কিন্তু তার চেয়ে বেশি আনন্দের প্রধানমন্ত্রীকে নিজের চোখে দেখেছি।
প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহর ছুটছে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় অভিমুখে। কিছুটা তফাতে ছিল জনজোয়ার। হাজারো মানুষের স্রোত। না তাদের পরনে জনসভার জন্য মুদ্রিত টিশার্ট নেই, মাথায় ক্যাপ নেই। তারা আ’ম জনতা।
বয়স ভুলে পায়ে হেঁটে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায়
বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
এআর/টিসি