ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বয়স ভুলে পায়ে হেঁটে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায়

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
বয়স ভুলে পায়ে হেঁটে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখে জনসভা থেকে ফিরছেন আবদুল আজিজ ও পরান হরি নাথ

পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে ফিরে: ৯৩ বছরের আবদুল আজিজ। ডাগর ‍ডাগর দুটি চোখ। কিন্তু জ্যোতি সামান্যই। বেতের মোটা লাঠিতে হাতে ভর দিয়ে ক্ষীণকায় শরীরটা টেনে নিয়ে এসেছেন ১০ কিলোমিটার।

চন্দনাইশের মোহাম্মদপুর থেকে পায়ে হেঁটে তিনি এসেছিলেন পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় তার আসার কারণ একটিই বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দেখা।

ফেরার পথে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় এ বৃদ্ধের। বললেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।

তার কন্যা দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। যৌবনকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর ভক্ত আমি। চট্টগ্রামে যেখানেই জনসভা করেছেন ছুটে গেছি। তার কন্যাকে শেষবার দেখেছিলাম নয় বছর আগে। পটিয়ায় এসেছেন ১৭ বছর পর। আর ক’দিন বাঁচব। শেষ দেখা দেখতে এলাম।

পরান হরি নাথের বয়স ৭৫। লোহাগাড়ার চরম্বা ইউনিয়ন থেকে এসেছেন তিনি। তাঁকেও হাঁটতে হয়েছে অন্তত ৩ কিলোমিটার।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বললেন, গম গরি ন দেখি বাজি। কিন্তু পরানে ন মানের। শেখর মাইয়া আইয়ের, আঁই ন আইলে দম বন্ধ অই মরি যাইতাম। (ভালো করে চোখে দেখি না বাবা। কিন্তু প্রাণ মানছে না। শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা আসছে, আমি না আসলে দম বন্ধ হয়ে মারা যেতাম)

পটিয়ার জনসমুদ্রে এবার শামিল হয়েছিলেন শত-সহস্র বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।

শুধু আবদুল আজিজ ও পরান হরি নাথ নন। পটিয়ার জনসমুদ্রে এবার শামিল হয়েছিলেন শত-সহস্র বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। বয়স ভুলে তারা পায়ে হেঁটে পৌঁছেছেন জনসভায়। জনস্রোতের ভিড় ঠেলে এগোতে কষ্ট হয়েছে। ঘেমে নেয়ে একাকার হয়েছে শরীর ও মন। কিন্তু মুখে তৃপ্তির হাসি। চোখের তারায় আলোর নাচন। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে নিজের চোখে দেখেছেন।   

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮ 

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।