পরে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র, মোটরসাইকেল ও ছিনতাই যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
রাঙামাটি জেলার লংগদু থানার মরিষ্যাচর বসুগাইনের বাড়ির আবদুল খালেক হাবিলদারের ছেলে খায়রুল ইসলাম।
তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী, বায়েজিদ বোস্তামী, ডবলমুরিং ও বন্দর থানায় চুরি, ছিনতাইসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো.মহসিন বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দুই শিক্ষার্থী রিকশা নিয়ে দেওয়ানহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। লালখান বাজার ইস্পাহানি মোড়ে পৌঁছলে মোটরসাইকেলে করে আসা ২ ছিনতাইকারী শিক্ষার্থীর হাতে থাকা ল্যাপটপের ব্যাগ ধরে টান দিলে একজন রিকসা থেকে পড়ে যান।
তিনি বলেন, এসময় ওই রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আব্দুর রব যাচ্ছিলেন। তিনি বিষয়টি খেয়াল করে ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে গিয়ে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীদের সহায়তায় ল্যাপটপসহ খায়রুলকে ধরে ফেলে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে খায়রুল অস্ত্র নিয়ে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছেন।
মহসিন জানান, খাইরুল আগে ছিঁচকে চোর ছিল। বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় বিভিন্ন লোহার কারখানা ও বাসা বাড়িতে চুরি করত। আগেও গ্রেফতার হয়েছিল। কারাগারে থাকা অবস্থায় তার সঙ্গে তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী হামকা নুর আলম ও হাতকাটা জাহাঙ্গীরের পরিচয় হয়। এরপর কারাগার থেকে বের হয়ে পেশাদার ছিনতাইকারী হয়ে ওঠে।
ছিনতাই কাজে দু’টি মোটরসাইকেল ও দু’টি সিএনজি চালিত অটো রিকসা ব্যবহার করে জানিয়ে তিনি বলেন, আগ্রাবাদ, জিইসি মোড়, রেয়াজউদ্দিন বাজার, মুরাদপুর এলাকায় বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে অবস্থান করে। ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে বের হওয়া ব্যক্তিদের টার্গেট করে টাকার ব্যাগ টেনে নেয় আবার কখনো কৌশলে সিএনজিতে তুলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা কেড়ে নেয়। এরপর সিআরবি, কদমতলী ফ্লাইওভার, দেওয়ানহাট ফ্লাইওভার, নিমতলী বিশ্বরোড এলাকায় নামিয়ে দেয়।
খায়রুল সন্ধ্যায় তার সহযোগীদের নিয়ে দুটি মোটরসাইকেলে নিউমার্কেট, কাজির দেউড়ি, ওয়াসা, লালখান বাজার, জাকির হোসেন রোড, পোলপাহাড়, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট, জামালখান এলাকায় ঘোরাঘুরি করে রিক্সা যাত্রীদের হাতে থাকা ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
এমইউ/টিসি