ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিতর্কিত নির্বাচনের পরিণতি ভয়াবহ হবে: বদিউল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮
বিতর্কিত নির্বাচনের পরিণতি ভয়াবহ হবে: বদিউল বক্তব্য দেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক অধ্যাপক বদিউল আলম মজুমদার।  ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: যদি আবারও বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচন হয়, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যদি সমঝোতা না হয়, অস্থিতিশীলতা দূরীভূত না হয় তবে ভয়াবহ পরিণতি আশঙ্কা করছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক অধ্যাপক বদিউল আলম মজুমদার।   

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সুলতান আহমেদ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এ আশঙ্কার কথা জানান। সুজনের বিভাগীয় পরিকল্পনা সভায় অংশ নিতে চট্টগ্রাম আসেন তিনি।

 

সুজনকে নির্দলীয় সংগঠন দাবি করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনই একমাত্র শান্তিপূর্ণভাবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা বদলের পথ। অনিয়মতান্ত্রিক ক্ষমতার রদবদল কারও কাম্য নয়।

এটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এটা কেউ আশাও করছি না।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। এর মূল কারণ হলো আমাদের নির্বাচনকালীন সরকার কী রকম হবে, সংসদ জীবিত বা কার্যকর থাকবে কিনা এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এক দল বলছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, আরেক দল বলছে সাংবিধানিক কাঠামো সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূল নয়। এ বিতর্ক আজকের নয়, ১৯৯৬ সাল থেকে চলে আসছে। তখন খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন হয়েছিল। তখন খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছিল, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই, অতএব সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। একতরফা ও বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছিল।

তিনি বলেন, ২০০৬-৭-৮ সালে বিএনপি নিজেদের স্বার্থে সংবিধান পরিবর্তন করেছিল। যাতে তাদের পছন্দের ব্যক্তি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হন। ২০১৩ সালে আবারও সংবিধান। যারা একসময় সংবিধান নিয়ে বলত তারা সংবিধানের বিপক্ষে। ডিগবাজি ঘটল। ১৯৯৬ সালে একতরফা নির্বাচন হলো। ২০০৭ সালে এক-এগারো আসল। ২০১৪ সালে আরেকটা বিতর্কিত নির্বাচন হলো। ৯৬ সালে ঐকমত্য ছিল না। ২০০৬-৭ সালে ছিল না। ২০১৩ সালে ছিল না। এখনো নেই। এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পরিণতি ছিল অস্বাভাবিক, অনাকাঙ্ক্ষিত।

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অস্থিতিশীলতার পরিণতি অস্বাভাবিক। এর পরিণতি স্বাভাবিক আশা করাটা বোধ হয় দুরাশা। নাগরিক অবস্থান থেকে করণীয় হচ্ছে যাতে আবারও অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করা। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হচ্ছে। অতীতে এ রকম সহিংসতা হয়নি। ২০১৪ সালের পর যে সহিংসতা-নৃশংসতা হয়েছে, উগ্রবাদের উত্থান ঘটেছে, হেফাজতের পৃষ্ঠপোষকতা সৃষ্টি হয়েছে।

এ সময় ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সিকান্দার খান, প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী, নারীনেত্রী রেহানা বেগম রানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।    

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।