বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জামালখানের ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একুশ স্মরণ পরিষদ আয়োজিত 'স্মরণে ২১' অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এমএ মালেক বলেন, সালাম, বরকত, রফিকরা বুকের রক্ত না দিলে বাংলায় কথা বলতে পারতাম না।
‘পুলিশ আমাদের প্রেস বন্ধ করে দিয়েছিল, ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছিল। একুশের ইতিহাসে সামান্য হলেও আমাদের অংশগ্রহণ আছে, এজন্য আমরা গর্ববোধ করি। ’
তিনি বলেন, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে একুশের অনুষ্ঠান হওয়াটা স্বাভাবিক। সাংস্কৃতিক বলয় আছে এখানে। সভাপতিত্ব করেন একুশ স্মরণ পরিষদের চেয়ারম্যান শৈবাল দাশ সুমন। বিশেষ অতিথি ছিলেন খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম, খাস্তগীর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হাসমত জাহান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সাহাব উদ্দিন।
ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশের আত্মদানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। একুশের চেতনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।
হাসমত জাহান বলেন, একুশ আমাদের চেতনা। পাকিস্তান সরকার আমাদের জাতিকে ধ্বংস করতে শিক্ষা ও ভাষার ওপর আঘাত হেনেছিল। উর্দু চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা না হলে পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া যাবে না।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একুশ স্মরণ পরিষদের সদস্যসচিব রত্নাকর দাশ টুনু, প্রধান সমন্বয়ক রুবেল দাশ প্রিন্স। অন্তরা হাওয়াইন শিল্পী গোষ্ঠী পরিবেশন করে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, সালাম সালাম হাজার সালাম, এ মাটির বুকে, মাঝি নাও, এ পদ্মা এ মেঘনাসহ ১২টি গান।
২১ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা এবং ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
এআর/টিসি