ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

একুশের কবিতা ছাপানোয় কোহিনূরের ম্যানেজার গ্রেফতার হন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
একুশের কবিতা ছাপানোয় কোহিনূরের ম্যানেজার গ্রেফতার হন একুশের কবিতা ছাপানোয় কোহিনূরের ম্যানেজার গ্রেফতার হন

চট্টগ্রাম: একুশের কবিতা ছাপানোয় কোহিনূরের ম্যানেজার গ্রেফতার হয়েছিলেন জানিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক বলেছেন, পুলিশ আমাদের প্রেস বন্ধ করে দিয়েছিল, বাবাকে গ্রেফতার করতে এসেছিল। তখন ম্যানেজার বলেন, মালিক কিছু জানেন না, আমিই ছাপিয়েছি। তখন তাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জামালখানের ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একুশ স্মরণ পরিষদ আয়োজিত 'স্মরণে ২১' অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এমএ মালেক বলেন, সালাম, বরকত, রফিকরা বুকের রক্ত না দিলে বাংলায় কথা বলতে পারতাম না।

স্বাধীন রাষ্ট্রের অঙ্কুর বায়ান্নে রোপিত। ১৯৫২ সালে একুশের প্রথম কবিতা 'কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি' আমার বাবা রাষ্ট্রদ্রোহের ঝুঁকি নিয়ে রাতে কোহিনূর প্রেসে ছাপিয়েছিলেন।

‘পুলিশ আমাদের প্রেস বন্ধ করে দিয়েছিল, ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছিল। একুশের ইতিহাসে সামান্য হলেও আমাদের অংশগ্রহণ আছে, এজন্য আমরা গর্ববোধ করি। ’

তিনি বলেন, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে একুশের অনুষ্ঠান হওয়াটা স্বাভাবিক। সাংস্কৃতিক বলয় আছে এখানে। সভাপতিত্ব করেন একুশ স্মরণ পরিষদের চেয়ারম্যান শৈবাল দাশ সুমন। বিশেষ অতিথি ছিলেন খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম, খাস্তগীর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হাসমত জাহান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সাহাব উদ্দিন।

ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশের আত্মদানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। একুশের চেতনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।

হাসমত জাহান বলেন, একুশ আমাদের চেতনা। পাকিস্তান সরকার আমাদের জাতিকে ধ্বংস করতে শিক্ষা ও ভাষার ওপর আঘাত হেনেছিল। উর্দু চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা না হলে পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া যাবে না।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একুশ স্মরণ পরিষদের সদস্যসচিব রত্নাকর দাশ টুনু, প্রধান সমন্বয়ক রুবেল দাশ প্রিন্স। অন্তরা হাওয়াইন শিল্পী গোষ্ঠী পরিবেশন করে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, সালাম সালাম হাজার সালাম, এ মাটির বুকে, মাঝি নাও, এ পদ্মা এ মেঘনাসহ ১২টি গান।

২১ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা এবং ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।