ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৫ প্রকাশনা সংস্থা নিয়ে ডিসি হিলে একুশে বইমেলা মঙ্গলবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
১৫ প্রকাশনা সংস্থা নিয়ে ডিসি হিলে একুশে বইমেলা মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ‘নগরীর ডিসি হিলের নজরুল স্কয়ারে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) থেকে নয়দিনব্যাপী একুশে বইমেলা শুরু হবে। ‘ব‌ই আমাদের অন্ধকার ঘুচিয়ে আলোর সন্ধানের শিখা’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত এ বইমেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১৫টি সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিবে।’

ডিসি হিলে ২৬তম এ অমর বইমেলার উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
 
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে একুশে বইমেলা ‍উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন একুশে বইমেলা উদযাপন পরিষদের মহাসচিব ও চিটাগাং খুলশী ক্লাবের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।
 
তিনি বলেন, ‘আমাদের চলার পথ অত্যন্ত কঠিন।
চট্টগ্রামে সৃজনশীল বই প্রকাশনার সংকট ও বন্ধ্যাত্ব আমাদেরকে বেদনাহত করে। এক সময় চট্টগ্রামের বইঘর সৃজনশীল বই প্রকাশনায় সারাদেশে  আলো ছড়িয়ে ছিল। প্রতিষ্ঠানটি এখন অবলুপ্ত। হাতেগোনা যে ক’টি প্রকাশনা সংস্থা রয়েছে, সেগুলো লাভের কথা দূরে থাক, লোকসানের বোঝায় ভারী হয়ে বিলুপ্তির পথে। এই নির্মম বাস্তবতা সত্ত্বেও আমরা একুশের বইমেলা করে যাচ্ছি বাঙালির মনোজগতকে সৃজনশীল করার জন্য। ’     
 
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ডিসি হিল প্রাঙ্গনে একুশের বইমেলার আয়োজনে সকলের সহযোগিতার কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও একুশে বইমেলা উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তরুণ প্রজন্মকে বইপড়ার প্রবণতা বাড়াতে হবে। এই বইমেলার মাধ্যমে চট্টলাসহ দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বই পৌঁছে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
 
সংবাদ সম্মেলনে নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার বলেন, সংস্কৃতিকর্মীরাই পারেন দেশকে আরও সৃজনশীল করতে। দেশ থেকে অপশক্তি রোধ করতে। বই মানুষের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে। ডিসি হিলে সংস্কৃতিচর্চার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে যে বই বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে তা আনন্দের। কেননা, প্রশাসনের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। সংস্কৃতিচর্চাকে বেগবান করতে হলে ডিসি হিলে অনুষ্ঠান আয়োজনে কোন বাঁধা দেয়া যাবে না। নানা অজুহাত দেখিয়ে ডিসি হিলে অনুষ্ঠান আয়োজনে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান এ সংস্কৃতিকর্মী।
 
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম আহমেদ, বইমেলার সমন্বয়কারী শওকত আলী সেলিম, খোরশেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
আয়োজকেরা জানান, এবারের একুশের বইমেলায় ঢাকার বলাকা প্রকাশনী, চট্টগ্রামের শৈলী প্রকাশনী, প্রজ্ঞালোক প্রকাশনী, মনিষা বুকস, সাহিত্য বিচিত্রা, জ্ঞান বিচিত্রা, কথা বিচিত্রা, বুক কালেকশন, শাহ আমানত প্রকাশনী, গ্রন্থ নিলয়সহ ১৫টি প্রকাশনী সংস্থা অংশগ্রহণ করবে।  
নয়দিনব্যাপী এ বইমেলায় প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে একুশের মঞ্চে উদ্দীপনামূলক একুশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত ঘটনা নিয়ে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বরেণ্য বুদ্ধিজীবি, লেখক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
এসবি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।