ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সৌজন্যে নির্মিত কালারফুল এ হলে একসঙ্গে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন তিন শতাধিক দর্শক-শ্রোতা। যাতে থাকছে বঙ্গবন্ধুর তিনটি বিখ্যাত ছবি, অন্নদাশঙ্কর রায়ের বিখ্যাত পঙক্তিমালা ‘যতদিন রবে...’, বিশাল মঞ্চ, আধুনিক লাইটিং সিস্টেম, সাউন্ড প্রুফ সিস্টেম, ১০টি সিসিটিভি ক্যামেরা, ৫৫ টনের শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, সুপরিসর গ্রিন রুম, কিচেন রুম, স্মোকিং জোন, ওয়াইফাইসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা।
ব্যাংকের পক্ষে নির্মাণযজ্ঞের দায়িত্ব পালন করছে এজে কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আবু জাফর রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলানিউজকে জানান, বঙ্গবন্ধু হল সাজানোর জন্য চেয়ার, সাউন্ড প্রুফের থ্রিডি বোর্ড, কার্পেট ডিজাইনসহ সব কিছু চীন থেকে আনা হয়েছে।
স্থপতি আশিক ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, উদ্যোক্তারা বলেছেন বঙ্গবন্ধু হলটি হবে বহুমাত্রিক ব্যবহারের উপযোগী এবং বিশ্বমানের। সেই হিসেবে দর্শক-শ্রোতা ও আয়োজকদের আয়োজন ও প্রয়োজনের নানা দিক বিবেচনায় নিয়ে হলটি সাজানো হয়েছে। তিন শতাধিক মানুষ একসঙ্গে ডুপ্লেক্স হলটিতে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন। পেছনের দিকের দর্শকদের সুবিধার্থে রাখা হয়েছে গ্যালারি সিস্টেম। এখানকার বিশেষত্ব হচ্ছে স্মোকিং জোন যেমন আমরা রেখেছি তেমনি আবার কিচেনও রেখেছি। পৃথিবীর প্রাগ্রসর শহরগুলোর হলের আলোকে এটির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ বাংলানিউজকে জানান, বঙ্গবন্ধু হলটি নকশা থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজ নিখুঁতভাবে করা হচ্ছে। এর জন্য সময় একটু বেশি লেগেছে। নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এত সুন্দর একটি মিলনায়তন হয়েছে, যা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। শিগগির উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাসের জায়গা ছিল চট্টগ্রাম। তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ সেই সাক্ষ্য বহন করে। চট্টগ্রামবাসীর আন্দোলন-সংগ্রামের ঠিকানা প্রেসক্লাব। প্রেসক্লাব ভবনে বঙ্গবন্ধু হলটি হবে এ জনপদের মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান-আয়োজনের নতুন ঠিকানা।
এক প্রশ্নের উত্তরে শুকলাল দাশ বলেন, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাগরূক রাখতে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে অক্সিজেন টু কুয়াইশ পর্যন্ত সড়কটি বঙ্গবন্ধু অ্যাভেনিউ হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ভবন, চবি-চুয়েট-সিভাসুসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু চত্বর আছে। চবিতে আছে বঙ্গবন্ধু ছাত্রাবাস। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হল, শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি রয়েছে। চট্টগ্রামে আছে বঙ্গবন্ধু ল’ টেম্পল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে হবে বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারসহ অনেক কিছু। আমাদের বিশ্বাস, এত কিছুর মধ্যেও উজ্জ্বল হয়ে বঙ্গবন্ধুর মহিমা প্রচার করবে প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলটি।
ক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্যদের দাবি ছিল বঙ্গবন্ধু হল। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সৌজন্যে আমরা সেই হলটি নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের ইচ্ছে রয়েছে ফেব্রুয়ারিতে হলটি উদ্বোধনের। অল্প কিছু কাজ বাকি। দু-তিন দিনের মধ্যে আমরা বাস্তবায়নকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করব। উদ্বোধনকে ঘিরে আমাদের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
এআর/টিসি