বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে এসব সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, জেলার মো. মুজিবুর রহমান, কারা পরিদর্শক সিরাজ উদ দ্দৌলা চৌধুরী, আলী আব্বাস, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. কামরুল হাবিব, জেসমিন পারভিন জেসি, সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ও কারারক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, কয়েদিদের প্রয়োজনে আরও বৈদ্যুতিক পাখা ও টেলিভিশন দেওয়া হবে। একসময় জেলখানায় কয়েদিদের জন্য দুঃসহ যন্ত্রণার জায়গা ছিল। বর্তমান সরকার জেলখানাকে আধুনিকায়ন করে বাসোপযোগী, পরিবেশবান্ধব, নান্দনিক সাজে সাজানো হয়েছে। কয়েদিদের থাকা খাওয়া এবং স্বজনদের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাতের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। সরকার মানবিক বিবেচনায় কয়েদিদের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
মেয়র বলেন, সাজা শেষে সবাইকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে হবে। হয়তো পরিবেশ পরিস্থিতি এবং নানামুখি জটিলতা ও ষড়যন্ত্রের কারণে জেলখানায় আসতে হয়। জেলখানা অপরাধীদের পরিশুদ্ধ হওয়ার ঠিকানা। এখানে মৌলিক অধিকার শতভাগ নিশ্চিত না হলেও জীবনধারনের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
মেয়র কারামুক্তির পর বাকি জীবনে আর যেন কারাগারে আসতে না হয় সে বিষয়টি মাথায় রেখে মা-বাবা ও পরিবার-পরিজনের সুখ শান্তি বিবেচনায় জীবন অতিবাহিত করার আহ্বান জানান।
কারাগার আত্মশুদ্ধির জায়গা উল্লেখ করে মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের মেয়র একজন উদার মনের মানুষ। তিনি কয়েদিদের জন্য নিজ তহবিল থেকে বৈদ্যুতিক পাখা ও এলইডি টেলিভিশন দিয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন। যা বিরল ঘটনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এআর/টিসি