সোমবার (০২ অক্টোবর) সকালে পাউরুটি নিয়ে বানর ও কাকের লড়াই উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল নগরীর পাথরঘাটা এলাকার এসি দত্ত লেনে। চিড়িয়াখানায় টিকেট কেটে দেখার মতো ‘চিড়িয়া’ বিনামূল্যে দেখতে শত শত কৌতূহলী শিশু-কিশোরের ভিড় জমে যায় রীতিমতো।
বাসার পাশে হইচই শুনে বেরিয়ে আসেন সরকারি সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সহযোগী অধ্যাপক, সংগঠক ও ছড়াকার আলেক্স আলীম।
বাংলানিউজকে আলেক্স আলীম বলেন, খাবারের খোঁজেই বানরটি বাসা-বাড়িতে চলে এসেছে। তার মুখে পাউরুটি ছিল। সেটি হয়তো সে পরিবারের সদস্য কিংবা সন্তানদের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কাকের চোখে পড়ায় তারা লড়াই শুরু করে। কিন্তু বানরটি ছিল নাছোড়বান্দা।
তিনি বলেন, পরির পাহাড়ে (কোর্ট হিল) নিয়মিত জগিং করতে যান এমন কয়েকজন জানিয়েছেন বানরটি সেখান থেকে খাদ্যাভাবে এসেছে। পরির পাহাড়ে মাঝেমধ্যে একাধিক বানর দেখা যায়। নির্বিচারে বৃক্ষনিধনের ফলে বাসস্থান ও খাদ্যাভাবে একদিকে লোকালয়ে নেমে আসছে বন্যপ্রাণী অন্যদিকে অপরিকল্পিত নগরায়ন ও বন্যপ্রাণীদের প্রতি ভালোবাসার অভাবে অনেক প্রাণী মানুষের হাতে মারা পড়ছে।
এদিকে, বাটালি হিল, জিলাপির পাহাড়ের লালখান বাজার এলাকায়ও মাঝেমধ্যে বানর দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
যোগাযোগ করলে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল ফজল কবির আহমেদ (মানিক) বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ধারণা বানরগুলো কোর্ট বিল্ডিং এলাকা থেকেই খাদ্যাভাবে লালখান বাজার এলাকায় চলে আসে।
তিনি বলেন, ব্রিটিশ-পাকিস্তান আমলে সদরঘাটের বটগাছ, কড়ই (শিশু) গাছে প্রচুর বানর ছিল। ১৯৮০-৮১ সালেও আমি সদরঘাটের গাছগুলোতে ৭০-৮০টি বানর দেখেছি। এখন আর নেই। তবে পাহাড়, অরণ্য, হ্রদ ও সমতলের শহর হিসেবে চট্টগ্রামে বানর, অজগরসহ বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী থাকাটা স্বাভাবিক।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াথানার ভেটেরিনারি সার্জন ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে ৩০টি বানর আছে চিড়িয়াখানায়। আরও ২০টি বানর রাখার মতো খাঁচা আছে। কোথাও বানর বা বন্যপ্রাণী দেখা গেলে জীবন্ত ধরে চিড়িয়াখানায় দিলে আমরা সাদরে গ্রহণ করবো। বন্যপ্রাণী হত্যা দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রাকৃতিক ভারসাম্যের জন্য বন্যপ্রাণীর গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
সাপের চামড়া ছাড়ানোর অপরাধে ছয় মাসের জেল
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৭
এআর/আইএসএ/টিসি