ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

হাকালুকি হাওরের সুস্বাদু মাছ ‘ভেদা’

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
হাকালুকি হাওরের সুস্বাদু মাছ ‘ভেদা’ ‘মেনি মাছ’ বা ‘ভেদা মাছ’। ছবি: সংগৃহিত

মৌলভীবাজার: ডোরাকাটা মাছটির শরীরজুড়ে কালচে-সবুজ আভা। দেখতে তেমন সুন্দর না, অনেকটা কই মাছের মতো, তবে স্বাদে দারুণ। 

সিলেট অঞ্চলে এই মাছটিকে ‘ভেদা মাছ’ বলা হয়। খাটি বাংলায় বলা হয় ‘মেনি মাছ’।

কোনো কোনো অঞ্চলে আবার এই মাছকে ‘নন্দই’ বা ‘রয়না’ নামে ডাকা হয়। একসময় দেশের বিভিন্ন পুকুর-ডোবা ও বিভিন্ন জলাশয়ে প্রচুর পাওয়া যেতো। তবে বর্তমানে এদের দেখা মেলে কম।  
 
ভেদা মাছের ইংরেজি নাম Gangetic Leaffish এবং এদের বৈজ্ঞানিক নাম Nandus nandus। এদের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ সেন্টিমিটার। বর্তমানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ নানা কারণে এদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে।
 
মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুল কুদ্দুস আকন্দ বাংলানিউজকে বলেন, ভেদা স্বাদু পানির উপরের স্তরের মাছ। এরা খাল-বিল, পুকুর, হাওড়, নদী ও কর্দমাক্ত পানিতে বিচরণ করে। এই মাছটি খাদ্য হিসেবে ব্যাপক পরিচিত এবং খেতেও সুস্বাদু। একসময় বর্ষাকালে ধান ও পাট ক্ষেতে জমে থাকা পানির মধ্যে ঝাঁকে ঝাঁকে ভেদা মাছের দেখা মেলত।

তিনি আরও বলেন, এ মাছটির দেহের রং কালচে-সবুজ। দেহ ডোরাকাটা । মুখের আকৃতি বেশ বড় ও লেজ গোলাকার। মাংসাশী এই মাছ জলজ পোকা মাকড় ও ছোট মাছ খেয়ে জীবনধারণ করে। পোনা ধ্বংস ও আবাসস্থল নষ্ট হওয়ায় এই মাছ এখন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

আমাদের দেশি প্রজাতির মাছগুলো বিলুপ্তির অন্যতম কারণ হলো, তাদের আবাসস্থল শুকিয়ে যাওয়া। এটা প্রাকৃতিক কারণে হতে পারে, আবার কেউ কেউ কৃত্রিমভাবে জলাভূমি শুকিয়ে ফেলেন। দ্বিতীয় কারণ, অতি মাত্রায় মৎস্য আহরণ এবং তৃতীয় কারণ, কৃষিজমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার।  

বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
বিবিবি/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।