ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

উপকূল থেকে উপকূল

২ সপ্তাহে ১৫ নৌকায় ডাকাতি, অপহৃত ৯, মেঘনায় আতঙ্ক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭
২ সপ্তাহে ১৫ নৌকায় ডাকাতি, অপহৃত ৯, মেঘনায় আতঙ্ক ২ সপ্তাহে ১৫ নৌকায় ডাকাতি, অপহৃত ৯, মেঘনায় আতঙ্ক-ছবি: বাংলানিউজ

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দস্যুরা। বিগত দুই সপ্তাহে অন্তত ১৫টি জেলে নৌকা দস্যুদের কবলে পড়েছে। ওইসব নৌকার মাঝি ও জেলেসহ নয়জনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছে।

নদীতে জেলেদের ওপর জলদস্যুদের হানা ও অপহরণের ঘটনায় সাধারণ জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।  

অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রভাবশালী কয়েকজন আড়ৎদারের যোগসাজশে বেছে বেছে নিরীহ জেলেদের মাছধরার নৌকায় হানা দেয় দস্যুরা।

লুটে নেয় জ্বালানি তেল, মাছ, জাল ও মোবাইল ফোনসহ নগদ টাকা।  

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার লুধুয়া ঘাট, পাতাবুনিয়া খালসংলগ্ন নদী ও মাতাব্বরনগর এলাকার অদূরে মেঘনা নদীতে আটটি জেলে নৌকায় হানা দেয় জলদস্যুরা। এসময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তিন জেলেকে অপহরণ করে তারা। অপহৃত জেলেরা হলেন- চর ফলকন এলাকার আলী আহমদের ছেলে আবদুল মন্নান (৪০), একই গ্রামের বাকলাই মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩২) ও পাটারিরহাট ইউনিয়নের বাচ্চু মাঝি (৪২)।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ওই তিন জেলেকে ছেড়ে দেয় দস্যুরা। এর আগে ১৯ জানুয়ারি রাতে পাটারিরহাট ইউনিয়নের কালু মাঝি, সফিক মাঝি, চৌকির মাঝি ও মুন্সিরহাট এলাকার আজাদ মাঝিসহ ছয় জেলেকে অপহরণ করা হয়। পরদিন ২০ জানুয়ারি রাতে কেউ কেউ ২০ হাজার, আবার কেউ কেউ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি পান। এছাড়া আরও আট/১০টি জেলে নৌকার জেলেদের ধাওয়া করার খবর পাওয়া গেছে।

মুক্তিপণ দিয়ে আসা জেলেরা জানান, নদীতে মাছ শিকারের সময় জলদস্যুরা অস্ত্রের মুখে তাদের তুলে নিয়ে ভোলার সীমান্তবর্তী চরে আটকে রাখে। এসময় তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়। দস্যুরা জেলেদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে এবং টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। পরে পরিবারের লোকজন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে মুক্তিপণ দিলে মুক্তি মেলে জেলেদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে জানান, উপজেলার বিভিন্ন মাছ ঘাটের প্রভাবশালী আড়ৎদারদের নৌকায় জলদস্যুরা হানা না দিয়ে সাধারণ জেলেদের নৌকায় হানা দেয়, মারধর ও অপরণ করে। এমন পরিস্থিতিতে রাতে মেঘনায় মাছ ধরা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, নদীতে জেলে নৌকায় ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি তিন জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া বাকি দস্যুদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।