ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬২ শতাংশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮
খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬২ শতাংশ কেন্দ্রে ভোটাররা। ছবি: মানজারুল ইসলাম

খুলনা: খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ৬২ দশমিক ১৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রায় পাঁচ লাখ ভোটারের এ সিটিতে মঙ্গলবার (১৫ মে) এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভয়, আতঙ্ক, ভোট দানে বাধা ও ভোটারদের আগ্রহ না থাকার কারণে অনেকে ভোট দিতে আসেন নি।

কেসিসি নির্বাচনে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ছিল চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন।

মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৮৯। ফলাফল প্রাপ্ত ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২৮৬।

কেসিসি নির্বাচনের রিটানিং কর্মকতার মেয়র পদে বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল শিট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সূত্রে জানা যায়, এবারের কেসিসি নির্বাচনে মোট বৈধ ভোটেরের সংখ্যা ৩ লাখ ৭১ এবং অবৈধ (বাতিল) ভোটের সংখ্যা ৬ হাজার ৫শ ৬৫। সর্বমোট ভোটদান সংখ্যা ৩ লাখ ৬ হাজার ৬শ ৩৬। শতকরা ভোটদানের হার ৬২ দশমিক ১৯।

সূত্রে আরও জানা যায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের তালুকদার আব্দুল খালেক ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮শ ৫১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপি মনোনিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার দুইশ ৫১ ভোট। ইলসামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের মো. মুজাম্মিল হক ১৪ হাজার তিনশ ৬৩ ভোট পেয়েছেন। জাতীয়পার্টির মেয়র প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের এসএম শফিকুর রহমান ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৭২ ভোট এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কাস্তে প্রতীকের মিজানুর রহমান বাবু নিয়ে পেয়েছেন ৫৩৬ ভোট পেয়েছেন।

বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে এমন দাবি করেছেন কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী।

তিনি ৬২ দশমিক ১৯ শতাংশ ভোট পড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। বিজয়ী আওয়ামী লীগ ও তার সমর্থকরা খুশি, ভোট নিয়ে বিএনপির অভিযোগের পাহাড়।

কেসিসি নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) খুলনা জেলা সম্পাদক কুদরত-ই খুদা বাংলানিউজকে বলেন, ‘মেয়র পদের প্রার্থী খালেক ও মঞ্জু উভয়ই যোগ্য প্রার্থী। ভোটের আগে তাদের তুমুল বাকবিতণ্ডায় ভোটারদের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা কাজ করেছে। জাল ভোটের কারণে তিনটি ভোট কেন্দ্র স্থগিত হওয়া ও বিভিন্ন কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো ছড়িয়ে পড়ায় দুপুর ১২টার পরে নারীরা তেমন একটা ভোট দিতে আসেন নি। যার কারণে ভোট পড়েছে মাত্র ৬২ দশমিক ১৯ শতাংশ। যা আমরা আশা করিনি’।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।