ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

আর নয় ডিপ্রেশন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
আর নয় ডিপ্রেশন প্রতীকী ছবি

ডিপ্রেশনের সহজ বাংলা হলো ‘মনঃক্ষুণ্ণতা’। আশপাশের কোনো ব্যাপার যখন আপনার ইচ্ছা কিংবা বাসনা অনুযায়ী ঘটবে না, তখনকার মানসিক অবস্থাই ডিপ্রেশন হিসেবে পরিচিত। ডিপ্রেসড কিংবা মনঃক্ষুণ্ণ থাকলে আমরা সবাই বেশ অসহায় বোধ করি, লজ্জায় কারো কাছে সাহায্যের আবেদনও করতে পারি না।

কিন্তু এখন থেকে আর জড়তা নয়, কয়েকটি কৌশলের মাধ্যমে খুব সহজেই ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠুন।

রুটিন অনুসারে চলুন
অভিজ্ঞ মনোবিশেষজ্ঞরা মনে করেন ডিপ্রেসড মানুষদের রুটিন মেনে চলা উচিৎ।

তাহলে যেকোন কাজের ব্যাপারে আপনার মনে নিয়মানুবর্তিতা আসবে এবং আপনি মানসিকভাবে শক্ত-সমর্থ হয়ে উঠবেন।  

লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
যেকোন কাজ শুরুর আগে লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিন। এবার সে লক্ষ্য অনুসারে এগোতে থাকুন। অল্প অল্প করে কাজ করুন প্রতিদিন। একদিন দেখবেন সে কাজটিই বৃহদাকার ধারণ করেছে।

এক্সারসাইজ করুন
এক্সারসাইজের ফলে আপনার শরীর থেকে এনডরফিন নিঃসৃত হয়, যা আপনার মন ভালো করার জন্য কার্যকরী। এজন্য আপনাকে কোনো বডিবিল্ডিং রুটিন মেনে চলতে হবে এমনটা নয়। প্রতিদিন আধা ঘণ্টা কিংবা ৪৫ মিনিট হাঁটুন। ভালো বোধ করবেন।

সুষম খাবার খান
এমন কোনো খাবার নেই যেটি মুহূর্তের মধ্যে আপনার ডিপ্রেশন কাটিয়ে তুলবে। কিন্তু সুষম ও পরিমিত খাবার খেলে আপনি সুস্থ থাকবেন, এতে মনও ভালো থাকবে। এছাড়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড আছে, এমন খাবার গ্রহণ করুন।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমিয়ে পড়ার এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। এতে আপনার জীবন একটি নিয়মের মধ্যে পরিচালিত হবে এবং আপনি সুস্থ বোধ করবেন।

দায়িত্ব নিতে শিখুন
নিজের কাজ নিজেই করার চেষ্টা করুন। কিংবা নিজ পরিবারের দায়িত্ব নিন। পুরোটা সময় একটু ব্যস্ততার মধ্যে কাটালে সময়ও ভালো কাটবে এবং আপনি ডিপ্রেশনে থাকার কথা ভুলে যাবেন। অলসতা ঘিরে ধরলেই মনে অদ্ভূত রকমের সব চিন্তা কাজ করে।

নেতিবাচক চিন্তা কাটিয়ে উঠুন
আশপাশে কোনো ধরনের নেতিবাচক চিন্তা ভিড়তেও দেবেন না। ভালো ভালো চিন্তা করুন এবং ভালো কাজ করার চেষ্টা করুন। কোনো কাজ শুরু করার আগে তার ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে ভাবুন।  

নতুন কিছু করুন
ডিপ্রেশন কিংবা মনঃক্ষুণ্ণতা কাটিয়ে ওঠার এটি বেশ ভালো একটি উপায়। নতুন কোনো কাজ শুরু করুন, যেমন-নতুন ভাষা শেখা, কেক বানানো, গান শেখা, বাদ্যযন্ত্র শেখা ইত্যাদি। এতে করে আপনি ব্যস্ত থাকতে পারবেন এবং মন ভালো থাকবে।

সর্বোপরি, নিজেকে ব্যস্ত রাখুন এবং নিয়ম মেনে চলা শুরু করুন। আপনি ভালো থাকবেন, আশপাশের মানুষকেও ভালো রাখতে পারবেন।  

বাংলঅদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
বিএটি/আরআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।