ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

দেশী পণ্যের উচ্চমূল্যে বিব্রত মেডিকেল ডিভাইস ব্যবসায়ীরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
দেশী পণ্যের উচ্চমূল্যে বিব্রত মেডিকেল ডিভাইস ব্যবসায়ীরা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে আয়োজিত গণশুনানিতে মেডিকেল ডিভাইস ব্যবসায়ীরা

ঢাকা: সরকারের তরফে দেশীয় মেডিকেল ডিভাইস কেনার জন্যে সুপারিশ করা হয়েছে মেডিকেল ডিভাইস অামদানিকারকদের প্রতি। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দেশীয় কোম্পানিগুলোর পণ্যের দাম মানের তুলনায় অনেক বেশি।

বৃহস্পতিবার (মে ১৮) বিকেলে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে আয়োজিত গণশুনানিতে মেডিকেল ডিভাইস ব্যবসায়ীরা এ অভিযোগ করেন। দাম নিয়ন্ত্রণে এনে মান বৃদ্ধির দাবি জানান তারা।

মেডিকেল ডিভাইস ব্যবসায়ী জাভেদ আহমেদ বলেন, বিদেশি ডিভাইসের জন্য ৬৫ শতাংশ ভ্যাট-ট্যাক্স দেয়া হয়। এরপরও শিরায় স্যালাইন দেয়ার জন্য ব্যবহৃত একটি ইনফিউশন সেট আমদানিকারকরা মাত্র ১৩ টাকায় বিক্রি করছেন। অথচ দেশীয় কোম্পানি মিক্স জেএমআই তা ৩৭ টাকায় বিক্রি করছে।

একইভাবে ৩৭ শতাংশ ভ্যাট-ট্যাক্স দেয়ার পরও একটি ইউরিন ব্যাগ ১৩ টাকায় বিক্রি করা যায়। কিন্তু দেশীয় কোম্পানি তা ৩৮ টাকায় বিক্রি করছে।

জাভেদ আহমেদ আরো বলেন, জেএমআই কোম্পানি ৭ টাকা মূল্যের আইভি ক্যানোলা সরবরাহ করার জন্য মিটফোর্ড এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২৬ লাখ টাকা অগ্রিম নেয়। কিন্তু পরে তা সরবরাহ করতে গড়িমসি করে।

সার্জিক্যাল ব্যবসায়ীরা জানান, মেডিকেল ডিভাইস রেজিস্ট্রেশন গাইডলাইন তৈরির সময় ব্যবসায়ীদের পাশ কাটিয়ে রাখা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ওষুধ প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা আমলে নেননি। বাধ্য হয়েই ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে নামে। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে তারা ধর্মঘট স্থগিত করে আলোচনায় বসেন। মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি করার প্রস্তাব করা হয়। ওই প্রস্তাব অনুযায়ী ডিভাইস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৭ সদস্যের নামও নেয়া হয়। কিন্তু তাদেরকে বাদ দিয়েই কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি পুর্নগঠনের দাবি করেন তারা।

করোনারি স্টেন্ট আমদানিকারক সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, স্টেন্টের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ার পরও বেসরকারি হাসপাতালের মালিকরা রিটেইল কমিশন চাচ্ছে। বর্তমান মূল্য অনুযায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কমিশন দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, স্টেন্টের মূল্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। কাজেই এটি থেকে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কমিশন চাওয়া বা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ওষুধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোঁড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধ পরিকর। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে মেডিকেল ডিভাইস উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, পাইকারী, খুচরা ব্যবসায়ী ও ব্যবহারকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। ডিভাইস ব্যবসায়ীরা যাতে পণ্য অবাধে আমদানি ও ব্যবসা করতে পারেন সে লক্ষে সব ধরণের সহযোগিতা ওষুধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
এমএন/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।