ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

যক্ষায় বছরে ৭৩ হাজার মানুষের মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৭
 যক্ষায় বছরে ৭৩ হাজার মানুষের মৃত্যু সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আশিষ কুমার সাহা। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: দেশে প্রতিবছর ৩ লাখ ৬২ হাজার মানুষ যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়। আর এতে মারা যায় ৭৩ হাজারেরও বেশি রোগী।

তবে স্বাস্থ্য সেবিকাদের সরাসরি পর্যবেক্ষণে চিকিৎসার (ডটস পদ্ধতি) সফলতার কারণে বাংলাদেশে যক্ষা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে ডটস কর্মসূচির স্বল্প মেয়াদে যক্ষ্মা রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আক্রান্ত রোগীরা যার সুফল পাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আশিষ কুমার সাহা এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান। তিনি বক্তৃতাকালে ২০১৬ সালে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) একটি প্রতিবেদনের বরাত দেন।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিশ্ব যক্ষা দিবস উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও সিভিল সার্জনের কার্যালয় যৌথভাবে এর আয়োজন করে। এবারের যক্ষা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘ঐক্যবদ্ধ হলে সবে, যক্ষা মুক্ত দেশ হবে’।

আশিষ কুমার সাহা বলেন, সারাদেশে সরকারিভাবে ৮শ’ ৫০টি ডটস সেন্টার রয়েছে। সেন্টারগুলোতে প্রত্যেক রোগীর জন্যে খরচ হয় প্রায় ৩২ হাজার টাকা। বাংলাদেশে যক্ষ্মার প্রার্দুভাব ও মৃত্যুহার ২০১৫ সালের মধ্যে অর্ধেকে নামিয়ে আনাই এ কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল। জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল ২০১৫ সালের মধ্যে শতকরা ৮৫ ভাগ নতুন যক্ষা আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করে তোলা। সেখানে এর অর্জন ছিল ৯৫ শতাংশ।

তিনি বলেন, যক্ষা হলে রক্ষা নাই, এই কথার ভিত্তি নাই। সঠিক সময়ে যক্ষা রোগী শনাক্ত করা গেলে নিয়মিত চিকিৎসায় এটি পুরোপুরিভাবে নিরাময় বা ভালো হয়। এ চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারই বহন করে।

তাই এজন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো দরকার বলে মন্তব্য করেন বিভাগী স্বাস্থ্য পরিচালক।

তিনি আরও বলেন, যক্ষ্মা সংক্রামক রোগ। যা আক্রান্ত রোগীর শ্বাস ও হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। এজন্য বুকে ব্যথার সঙ্গে তিন সপ্তাহেরও বেশি কাশি থাকলে তাকে অবশ্যই কফ পরীক্ষা করাতে হবে। রোগের লক্ষ্মণ দেখা মাত্র বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল, সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট ডা. আমীর হোসেন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. ইসমত আরা, ডেমিয়েন ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক আরিফ ইফতেখার মান্নান, মনিটরিং অফিসার তসলিম উদ্দিন ও বিভাগীয় টিবি বিশেষজ্ঞ ডা. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৭
এসএস/আরআইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।