ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

শজিমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘটে ভোগান্তি পোহান রোগীরা

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
শজিমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘটে ভোগান্তি পোহান রোগীরা

বগুড়া: হুইল চেয়ারে বসে অন্তঃসত্ত্বা নারী মর্জিনা। তাকে ঠেলে নিয়ে জরুরি বিভাগের দিকে এগুলেন একজন। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারলেন না। কারণ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘটের কারণে তখন বন্ধ বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম।

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে এসেছিলেন মর্জিনা খাতুন। ধর্মঘটের কারণে চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি ফিরলেন তিনি।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ডাকা ধর্মঘট চলাকালে রোগীদের চিকিৎসা না পাওয়ার  এমন দৃশ্য ‍উঠে আসে।

প্রতিদিনের ন্যায় সোমবারও চিকিৎসাসেবা নিতে দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা আসেন হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে এসে দেখেন ভিন্ন চিত্র। ধর্মঘট ডেকে চিকিৎসকরা তখন আন্দোলনে ব্যস্ত।  

চিকিৎসা না পেয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের হাসপাতাল এলাকার বিভিন্ন স্থানে জটলা করতে দেখা যায়।

এছাড়া ধর্মঘটের কারণে হাসপাতালে ভর্তি অনেক রোগীকে হাসপাতালের বেডে অসহায়ের মত শুয়ে থাকতে দেখা যায়।

আগাম কোন ঘোষণা ছাড়াই এ ধর্মঘটের কারণে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হন তারা।

মুসলিমা, আফরোজা, আফজাল হোসেনসহ ভুক্তভোগী একাধিক রোগী বাংলানিউজকে বলেন, চিকিৎসা বন্ধ করে আমাদের কষ্ট দিয়ে লাভ কি। সমস্যা হলে সমাধানের অনেক উপায় আছে। সেটা না করে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া অমানবিক কাজ বলেও মন্তব্য করেন এসব রোগীরা।

এর আগে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের হাতে ইন্টার্ন চিকিৎসক লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ তুলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। ওইদিন বেলা ১২টা থেকে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।  তবে সোমবার বিকেলে ধর্মঘট ডাকার প্রায় ২৮ ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।