ঢাকা: বোমা হামলা, গুলি করে হত্যা এখন নৈমিত্তিক বিষয় যেন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে আড়ালে যে বিষয়টি থেকে যাচ্ছে, তা হলো আত্মহত্যায় অস্ত্রের ব্যবহার।
দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য মতে, ২০১৩ সালে যেসব মানুষ আত্মহত্যা করেছে তার মধ্যে ২১ হাজার ১৭৫ জন প্রাণ দিয়েছে অস্ত্র ব্যবহার করে।
আর বোস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর গবেষকদের মতে, আত্মহত্যার সঙ্গে অস্ত্রের মালিক হওয়ার সম্পর্ক রয়েছে অনেক বেশি। কারণ যাদের নামে অস্ত্র বরাদ্দ আছে, তারাই বেশি আত্মহত্যা করছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
এই গবেষক দলের প্রধান ডা. মাইকেল সিজেল বলেন, নীতিনির্ধারকদের এখন বিষয়টি নিয়ে ভাববার সময় এসেছে।
তিনি এবং তার সহকর্মীরা ৩০ বছরের বেশি সময়ের তথ্য সংগ্রহ করেন। ১৯৮১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যের বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, যারা আত্মহত্যা করেছেন, তাদের মধ্যে শতকরা ৪১ ভাগের হাতেই অস্ত্র ছিল।
সহযোগী গবেষক এমিলি রুথম্যান বরেন, আত্মহত্যা যুক্তরাষ্ট্রবাসীর মৃত্যুর ১০টি প্রধান কারণের একটি। পুরুষদের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, তাদের হাতে অস্ত্র থাকাটা সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
গবেষণা মতে, আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারে আত্মহত্যা করার মাত্রা বেড়েছে পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩.৩ শতাংশ এবং নারীদের ক্ষেত্রে ০.৫ শতাংশ।
জন হকিংস সেন্টার ফর গান পলিসি’র গবেষকরাও একই ধরনের একটি গবেষণা চালান। সেখানেও দেখা যায়, অস্ত্রের সহজলভ্যতা বাড়ার কারণে আত্মহত্যার হার বেড়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৬
এটি/এইচএ/