ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

মনোকথা

অনলাইন বুলিংয়ে বাড়ছে আত্মহননের ঝুঁকি

মনোকথা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৬
অনলাইন বুলিংয়ে বাড়ছে আত্মহননের ঝুঁকি প্রতীকী ছবি

ঢাকা: বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটার প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে অনলাইন ক্রাইমের মাত্রা। তরুণ প্রজন্মের দিনের একটি বিরাট অংশ কেটে নিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো।

সম্পর্ক গড়ার পাশাপাশি নানাবিধ ভাঙনও তৈরি হচ্ছে। বাড়ছে মানসিক স্ট্রেস। এই স্ট্রেসের অন্যতম কারণ অনলাইন বুলিং।

অনলাইন বুলিং ‍কী?
ইন্সট্যান্ট মেসেজিং, ই-মেইল, চ্যাট রুম, ফেসবুক ও টুইটারের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাউকে হুমকি, উৎপীড়ন, ভয় দেখানো বা হয়রানি করাকে সাইবার বুলিং বলে।  

সাইবার বুলিং বিভিন্ন রকম হতে পারে। হ‍ুমকি দেওয়া, উত্তেজনাকর অপমান, সাম্প্রদায়িক বা নৃ-তাত্ত্বিক তিরস্কার, ভুক্তভোগীর কম্পিউটারে ভাইরাস সংক্রমণের চেষ্টা ইত্যাদি।  

সাইবার বুলিং অপরাধীর অধিকাংশই টিনএজার বা তরুণ প্রজন্ম। এক্ষেত্রে উৎপীড়ক একটি ফলস ইউজার নেম ব্যবহার করে আসল পরিচয় গোপন রাখে। যার ফলে ভুক্তভোগী আসল অপরাধীকে সহজে চিহ্নিত করতে পারে না।

অনলাইনে প্রায় ৪৩ শতাংশ ছেলে-মেয়েই এ উৎপীড়নের স্বীকার হয়। এটি প্রতি চারজনের মধ্যে একজনের বেলায় একবারের বেশি সময় ঘটে।  


যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটির ৮০ শতাংশ বা তার বেশি টিনএজাররা নিয়মিত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আর মোবাইল ফোন সাইবার বুলিংয়ে সবচেয়ে কমন মাধ্যম। অন্যদিকে, ৬৮ শতাংশ টিনএজার সম্মত হয়েছে যে সাইবার বুলিং একটি বড় সমস্যা। ৮১ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অল্পবয়সী একমত হয়েছে, সরাসরি কাউকে উৎপীড়নের চাইতে অনলাইনে উত্যক্ত করা, ঠাট্টা বা হাসি-তামাশা করা সহজ। যার ফলে সমস্যাটি বাড়ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, অনলাইন বুলিংয়ের ১০ জন ভুক্তভোগীর মধ্যে মোটে একজন নিজেদের ভোগান্তির ব্যাপারে বাবা-মা বা বিশ্বস্ত বয়োজেষ্ঠ্যদের অবগত করে।  

গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, সাইবার বুলিংয়ের শিকার ও অপরাধী উভয় দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায় ৫৮ শতাংশ অনলাইনে কষ্টদায়ক উক্তির স্বীকার হয়েছে। এদের দশজনের মধ্যে অ‍াবার চারজন দুই বা ততোধিক খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে।  

দুর্ব্যবহার, উৎপীড়ন, ঠাট্টা, গসিপ দুই থেকে নয়বার বা তার বেশি হলে তা ব্যক্তির আত্মহননের ইচ্ছেকে বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।  

এছাড়া, সাইবার বুলিংয়ের স্বীকার হয়ে ভুক্তভোগী সাইকোলজিক্যাল, ফিজিক্যাল ও ইমোশনাল স্ট্রেস পিরিয়ড পার করতে পারে। বাড়তে পারে ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স। যদিও উৎপীড়নের পরিপ্রেক্ষিতে একেকজনের প্রতিক্রিয়া একেকরকম। কিন্তু গবেষণায় কিছু সাধারণ ফলাফলের কথা বলা হয়েছে। মোটা দাগে বলা হয়েছে, সাইবার বুলিং হতে পারে গভীর বিষণ্নতা ও দুঃশ্চিন্তার অন্যতম ক‍ারণ।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৬
এসএমএন/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।