ঢাকা: কখনও লক্ষ্য করেছেন কি চাঁদ যখন আনুভূমিক অবস্থানে থাকে, তখন তার আকার উলম্ব রেখায় অবস্থানের চেয়ে বেশি বড় লাগে। চাঁদ যখন দিগন্তে উঁকি দেয় তখন তাকে অনেক বড় মনে হয়, কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর যখন মাথার ওপরে চলে যায় তখন তাকে তুলনামূলক ছোট দেখায়।
মানব ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে মুন ইল্যুশনের ভালো পরিচিতি থাকলেও চাঁদ দেখার দৃষ্টি-বিভ্রম নিয়ে এখনও বিতর্কে রয়েছেন গবেষকরা।
আপাত দৃষ্টিতে দূরত্ব তত্ত্ব
আমরা যখন উলম্ব বা আনুভূমিক অবস্থানে চাঁদ দেখি তখন আমাদের গভীর উপলব্ধি দৃষ্টিভঙ্গিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন আনুভূমিকে চাঁদ দেখি চাঁদের সঙ্গে সঙ্গে গাছের সারি, পাহাড় বা অন্যান্য ভূ-প্রাকৃতিক দৃশ্য চোখে পড়ে। কিন্তু যখন চাঁদ উপরের দিকে উঠে যায় বা মাথার উপর অবস্থান করে তখন আশেপাশের ভূ-চিত্র চোখে পড়ে না। এই তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে গকেষকদের নেওয়া একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীরা আনুভূমিকে থাকার সময় চাঁদকে উলম্বরেখায় অবস্থানের চেয়ে ১.৩ গুণ বেশি বড় দেখেছেন।
কৌণিক আকার বৈসাদৃশ্য তত্ত্ব
এই তত্ত্বে বলা হয়েছে, আশেপাশের বস্তুগুলোর ওপরও আমাদের দৃষ্টিকোণ নির্ভর করে। যখন চাঁদ আনুভূমিকে অবস্থান করে ও পারিপার্শ্বিক বস্তুগুলো আকারে ছোট হয় তখন চাঁদকে বড় দেখায়। আবার সুবিশাল আকাশের বুকে চাঁদকে ছোট দেখায়।
এগুলো মুন ইল্যুশনের বিশেষ দু’টি তত্ত্ব। এছাড়া আরও অনেক ব্যাখ্যা বিগত বছরগুলোতে সামনে এসেছে কিন্তু তা সর্বসম্মত ছিলো না। তবুও উল্লেখ করা যেতে পারে-
রঙ
যখন চাঁদ রক্তিম দেখায় (বাতাসে মিশে থাকা ধোঁয়া বা ধুলার কারণে) তখন তাকে বড় লাগে। যারা গ্রামে বসবাস করে তারা চাঁদ আনুভূমিকে অবস্থানকালে লাল ও আকারে বড় দেখেন। বিশেষত ফসলি মৌসুমে বাতাসে ধুলা ও অন্যান্য ক্ষুদ্র উপাদানের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে চাঁদ লাল দেখায়।
বায়ুমণ্ডল
যখন বায়ুমণ্ডল ধোঁয়া ও কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে তখন অনুভূমিক অবস্থানকালে চাঁদকে বড় দেখায়।
ভিজুয়াল ফ্যাক্টরস
যখন কোনো কিছু আনুভূমিক পরিমণ্ডলে থাকে তখন সে বস্তুকে বড় দেখায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৬
এসএমএন/এটি