ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

আপনার সমস্যা-আমাদের সমাধান

প্রথমে ভাবুন, ভুলের মাসুল দেওয়া যৌক্তিক কিনা

মনোকথা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৫
প্রথমে ভাবুন, ভুলের মাসুল দেওয়া যৌক্তিক কিনা ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: মনোকথা আপনাদের ‍পাতা। আপনার মনস্তাত্ত্বিক নানা সমস্যা সমাধানে আমরা রয়েছি আপনার পাশে।

সমস্যা জানিয়ে জেনে নিন সম্ভাব্য সমাধান। মনোকথার এক পাঠক জানিয়েছেন তার সমস্যার কথা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সমাধান জানানো হলো।

আপনার সমস্যা
Amar bie hoece prae 1 yr. Bier por por ami khub manoshik jontrona e aci. amar husband prothom theke amk khub mental torture korto. Aage bole rakhi, amar shamir aage akta bie hoecilo & se ghore unar akta 7 yr er chele ace. Uni divorce die amake bie koren. Amr age kono bie hoeni. atai amar first marriage. Bier age theke take ami 5 months dhore chintam. But bier por onek kothin shotti shamne chole ashe. Uni puropuri loan e jorjorito akjon manush. prothom wife ke divorce dear shomoe oi mohila onek kicu nie gechen. Sei loan amr husband akhon shodh korcen. Jar fole amader shongshare khub effect asce. Tachara tar chele r jonno proti month e akta good amount oi mohila ke dite hoe. Shudhu etai na, oi mohila phone, Viber e nije abong chele ke die onek disturb kore. Amr husband o kotha bole. Jar fole amr shongsharer upor tar kono interest e chilo na. R ami manoshik vabe khub e harmful hoi. Amr shami amk bier 1 month er modhdhe amar gae hat o tulece. Oi mohila kotha bolle amar shami hypnotized hoe jae. Ami tader shathe kotha bolte na korleo kotha bole. ami 5 months jabot amar baba r basae aci. ami chole asar por amr husband onek request korece tar shathe jete. Kintu ami jaini. Akhon ami tar kache jete chacchi but amk nicche na. Bole je, aage objection dea bondho korba then chinta korbo. Amk ei vabe torture kore, shongshare temon kono tk dite pare na, amar proti husbandries kono responsibility palon kore na, abar amr upor khub odhikar folae. Take na bole kothao jete pari na. Ami amar husband ke onek love kori. ami atao buji evabe tar sathe thaka possible na. Ki korbo, thakbo naki-thakbo na. Khub jontrona e achi. Please amk ki aktu janaben amr husband ke thik kora possible ki na, r na hole amr ki kora uchit?

আম‍াদের সমাধান
চিঠি লেখার জন্য ধন্যবাদ। সমাধান কিন্তু আপনি নিজেই অবচেতনভাবে দিয়ে দিয়েছেন। ভাবুন, একবার যে মানুষটা প্রতিনিয়ত আপনাকে আঘাত করছে, তাকে আরও আঘাত করার সুযোগ আপনি দেবেন কিনা? এটা ভেবে দেখুন। এভাবেই যদি প্রতি মুহূর্তে রক্তাক্ত হতে চান অবশ্যই আপনি ঘরের দরজা খুলে তাকে ডাকতে পারেন। আবার আপনি নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন, অনেক হয়েছে আমি আর তোমাকে সুযোগ দেব না আমাকে কষ্ট দেওয়ার। কারণ,  'Life is a matter of choice. Either you choice to suffer or you choice to enjoy'।

বিয়ের আগে ৫ মাসের পরিচয়। তখন কি খোলামেলা কথা হয়েছিল তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী আর সন্তানের খরচ তিনি দেবেন কিনা? তিনি তার সন্তানের এবং যতদিন স্ত্রী ফের বিয়ে না করেন, ততদিন তাদের খোরপোষ দিতে বাধ্য। স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ হতেই পারে। কিন্তু তাদের সন্তানের কাছে তারা সব সময় মা-বাবা থাকবে। আপনার নিজের সন্তান হলেও। এটা আপনাকে মেনে নিতেই হবে।

এবার বলুন আপনি কি চান? যদি এটা মেনে নেওয়াটা কষ্টকর হয়, তবে নিজেকে কি এই কষ্টটা দেবেন আপনি? কেন দেবেন? কি লাভ হবে আপনার নিজেকে এই কষ্ট দিয়ে? এই কষ্ট করার পর আপনার প্রাপ্তি কি? যে দাম দিয়ে এই কষ্টগুলো কিনছেন সে দামটা উসুল হবে? ঠাণ্ডা মাথায় কাগজ-কলমে এগুলো আপনি লিখে দেখুন। যোগ-বিয়োগ করে দেখুন কোন দিকের পাল্লা ভারী হয়। জীবন আপনার, সিদ্ধান্ত আপনার।

আপনি বলছেন, আপনি তাকে অনেক ভালোবাসেন। তাহলে আপনার নিজের সংসারে ফেরাটাকে কেন সে কষ্টের ঘেরাটোপে বেঁধে দিয়েছে। এই শর্তটা কি সম্মানজনক আপনার পক্ষে? সর্ম্পকটা আপনার জন্য শারীরিক ও মানসিক উভয় অর্থে ‘অ্যাবিউসিভ রিলেশন’র পর্যায়ে পড়ে।

আপনি উচ্চ শিক্ষিত, চাকরিজীবী, ঢাকায় থাকার জায়গা আছে। এখন আমার প্রশ্ন হলো, আপনি নিজেকে কেন ‘অ্যাবিউস’ হতে দেবেন? দিলে কত দিন দেবেন? না দিলে বিকল্প কি কি পথ খোলা আছে আপনার হাতে? এক এক করে সেগুলোকে কাজে পরিণত করার সাহস ও শক্তি আপনার আছে? যদি না থাকে, তবে কবে ও কীভাবে হবে? আরেকটা জরুরি জিনিস, এই সংসারে আপনি কি সত্যিই একদিন আপনার সন্তান জন্ম দিতে চান? আপনারা আপনাদের Best effort তাকে দিতে পারবেন? ভেবে দেখুন বিষয়টা ঠাণ্ডা মাথায়।

আগে নিজের সঙ্গে নিজের বোঝাপড়া করুন, তারপর সিদ্ধান্ত নিন। কারণ “You can’t change others, you only can only change yourself ''। আর হ্যাঁ, আমি ভুল করেছি ভুলের মাসুল দেবো এসব নেতিবাচক কথা ভুলেও মনে ঠাঁই দেবেন না। নিজের ক্যারিয়ারের দিকে মনোযোগ দিন। নিজের পেশাগত অবস্থান সুদৃঢ় করুন। নিজেকে তৈরি করুন। যাতে নিজেকে একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দিতে পারেন।

কেমন আছেন জানাবেন। আমরা পাশে আছি।

প্রিয় পাঠক, ‘মনোকথা’ আপনাদের পাতা। আপনারা জানাতে পারেন বাংলানিউজের ‘মনোকথা’ পাতায় আপনি কি ধরনের প্রতিবেদন দেখতে চান। মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের।

আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো। আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও।

সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।

এছাড়া মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বা এ বিষয়ে বিশেষ যে কোনো লেখা যে কেউ পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের।

আপনার সমস্যা, মতামত বা পরামর্শ ও লেখা পাঠানোর জন্য আমাদের ইমেইল করুন -[email protected]

প্রফেসর ডা. সানজিদা শাহরিয়া: কাউন্সিলর, বিসিআর পেইন অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৫
এটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।