ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

রুট-ক্যানেল চিকিৎসার পরে ‘স্মৃতি ক্ষয়’

মনোকথা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৫
রুট-ক্যানেল চিকিৎসার পরে ‘স্মৃতি ক্ষয়’

ঢাকা: চলচ্চিত্রপ্রেমীদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ১৯৯৩ সালে হ্যারল্ড রামিস পরিচালিত মার্কিন হাস্যরসাত্মক কল্পকাহিনী ‘গ্রাউন্ডহগ ডে’, ২০০০ সালে ক্রিস্টোফার নোল্যান পরিচালিত মার্কিন নিও নয়ার মনস্তাত্ত্বিক রোমাঞ্চ কাহিনীচিত্র ‘মেমেনতো’ বা ২০০৮ সালে এ. আর. মুরুগাড়স’র রচনা ও পরিচালনায় ভারতীয় মনস্তাত্ত্বিক রোমাঞ্চ কাহিনীচিত্র ‘গজনী’র কথা।

এসব চলচ্চিত্রের একধরনের রোগীকে প্রধান চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়।

বাস্তবেও দেখা মিলেছে সেই রোগ ও রোগীর।

সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ৩৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ এক ব্যক্তি ৯০ মিনিটের কিছু বেশি সময়ের কথা মনে রাখতে পারেন না। দাঁতের রুট-ক্যানেল চিকিৎসা নেওয়ার পর থেকেই এ বিপত্তি। গত এক দশক ধরে তিনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একই দিন ভেবে ডেন্টিস্টের কাছে যান।

ইউনিভার্সিটি ‍অব লাইসেস্টার-এর ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের প্রভাষক ডা. জেরাল্ড বার্গেজ বলেন, যদিও রুট-ক্যানেল করার সময় লোকাল অ্যানেসথেশিয়া করা হয়েছিল, তারপরও এই চিকিৎসাই স্মৃতি ক্ষয়ের কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগী তার পরিচয় ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন। এ সংক্রান্ত সব তথ্যই তার মনে আছে। কিন্তু প্রতিদিনের ৯০ মিনিটের বেশি কোনো ঘটনা তার মনে থাকছে না। যে কারণে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে তিনি মনে করেন, আজ তার ডেন্টিস্টের সঙ্গে সাক্ষাতের তারিখ এবং হাসপাতালের উদ্দেশে রওয়ানা হন।

এর আগে এ ধরনের কোনো রোগী আমাদের কাছে আসেননি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রুট-ক্যানেল করার কারণে স্মৃতি ক্ষয় হয়ে থাকতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ আমাদের হাতে আসেনি, যোগ করেন বার্গেজ।

তিনি আরও বলেন, আপাতত এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তাকে ইলেক্ট্রিক ডায়েরি ব্যবহার কর‍ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এ কাজে বার্গেজকে নর্থঅ্যামটনসায়ার হেলথকেয়ার ফাউন্ডেশনের (এনএইচএস ট্রাস্ট) কনসালট্যান্ট সাইক্রাটিস্ট ভানু চাড়ালাভাড়া সহায়তা করছেন।

যারা এ বিষয়ে গবেষণা করছেন এবং যেসব রোগীরা রুট-ক্যানেল চিকিৎসা নেওয়ার পরে ‘স্মৃতি ক্ষয়’ সমস্যায় ভুগছেন তাদের যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ভানু।

প্রিয় পাঠক, ‘মনোকথা’ আপনাদের পাতা। আপনারা জানাতে পারেন বাংলানিউজের ‘মনোকথা’ পাতায় আপনি কি ধরনের প্রতিবেদন দেখতে চান। মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের।

আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো। আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও।

সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।

এছাড়া মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বা এ বিষয়ে বিশেষ যে কোনো লেখা যে কেউ পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের।

আপনার সমস্যা, মতামত বা পরামর্শ ও লেখা পাঠানোর জন্য আমাদের ইমেইল করুন- [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ‍জুলাই ১৫, ২০১৫
এটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।