ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১২ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের প্রয়াণ

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়— যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানব সভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এইদিন’।

৩০ মে ২০২০, শনিবার। ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৪৫৩- তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল জয়।
১৪৯৮- ক্রিস্টোফার কলম্বাস তৃতীয় সমুদ্র যাত্রা শুরু করেন।
১৫৩৯- স্বর্ণ অনুসন্ধানের জন্য হেরনান্দো দি সতো টম্পা সাগর উপকূলে উপনীত হন ৬০০ সৈন্যসহ।
১৬৩১- ফ্রান্সের প্রথম সংবাদপত্র লা গ্যাজেট প্রকাশ।
১৯১৩- আলবেনিয়া নতুন রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়।
১৯১৭- প্রথম আলেকজান্ডার গ্রিসের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।
১৯৯০- বরিস ইয়েলৎসিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
১৯৯১- ক্রোয়েশিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা।
১৯৯৬- বেনজামিন নেতানিয়াহু ইসলাইলের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত।
১৯৯৭- তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার শুক্র-শনি দু’দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করে।
১৯৯৮- আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে ভূমিকম্পে পাঁচ হাজার লোকের প্রাণহানি।
১৯৯৯- নাইজেরিয়ায় সামরিক শাসনের অবসান।

জন্ম
১৬৩০- রাজা দ্বিতীয় চার্লস।
১৯১৭- সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি।

মৃত্যু
১৫৯৩- নাট্যকার ক্রিস্টোফার মার্লো।
১৭৪৪- ইংরেজ কবি আলেকজান্ডার পোপ।
১৭৭৮- ফ্রান্সের বিখ্যাত দার্শনিক ও লেখক ভলতেয়ার।

তার আসল নাম ফ্রঁসোয়া-মারি আরুয়ে। ১৬৯৪ সালের ২১ নভেম্বর জন্ম নেওয়া এ দার্শিনক ছদ্মনাম ভলতেয়ার নামেই তিনি বেশি পরিচিত। ফরাসি আলোকময় যুগের একজন লেখক, প্রাবন্ধিক ও দার্শনিক। তার বাকচাতুর্য ও দার্শনিক ছলাকলা সুবিদিত। তিনি নাগরিক স্বাধীনতার স্বপক্ষে, বিশেষত ধর্মের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তিনি ফ্রান্সের কঠোর সেন্সর আইন উপেক্ষা করে সামাজিক সংস্কারের অন্যতম প্রবক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। গির্জা ও তৎকালীন ফরাসি সামাজিক আচার ছিল তার ব্যঙ্গবিদ্রূপের লক্ষ্য। ভলতেয়ার তার বিদ্রূপধর্মী লেখা ‘রিজেন্ট’ এর জন্য কারারুদ্ধ ছিলেন দীর্ঘদিন। কারান্তরীণ অবস্থায় ১১ মাসে তিনি লিখেন ‘ওয়েডিপে’ নামে ট্র্যাজিক নাটক। মূলত এই নাটকই তাকে খ্যাতি এনে দেয়। ১৮ শতাব্দীতেই তাকে ফ্রান্সের বিশিষ্টজনরা হোমার ও ভার্জিলের সমকক্ষ বলে প্রশংসা করতে শুরু করেন। ভলতেয়ারের সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে দুই হাজার বই ও ২০ হাজার চিঠি। তার বিখ্যাত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- দ্য এইজ অব লুই ১৪, এসে অন দ্য কাস্টমস অ্যান্ড দ্য স্পিরিট অব দ্য নেশনস, জাডিগ, মাইক্রোমেগাস ও ডিকশোনারে ফিলোসফিকিউ। কিছু বছর ইংল্যান্ডে থাকলেও শেষ জীবনে জন্মস্থান প্যারিসে ফিরে আসেন ভলতেয়ার।

১৯০৩- সার্বিয়ার রাজা আলেকজান্ডার আর্বোনোভিচ।
১৯১২- মার্কিন প্লেন আবিষ্কারক উইলবার রাইট।
১৯৬০- নোবেলজয়ী রুশ কথাসাহিত্যিক বোরিস পাস্তারনাক।
১৯৬৫- ডেনীয় ভাষাবিজ্ঞানী লুই ইয়েল্মস্লেভ।
১৯৮১- সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।