পার্কের ভেতরে-বাইরে সর্বত্র ছড়িয়ে, ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা আর্বজনা। বাউন্ডারির মধ্যেই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন দোকান।
শনিবার (২৩ জুন) পান্থকুঞ্জ পার্ক ঘুরে দেখা যায়, পার্কের ভেতরের চার দিকেই রয়েছে ময়লার স্তুপ। এর দক্ষিণ পার্শে টাইলস ও সিরামিক ব্যবসায়ীরা পার্কের ওয়াল সমান ময়লা ও সিরামিকের ভাঙা অংশ ফেলে রেখেছে। এতে বড় বড় দুইটি স্তুপে পরিণত হয়েছে এ পাশটি।
পার্কের পূর্বদিকে ভেতরের অংশে কয়েকটি স্থানে আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। রয়েছে মল-মূত্র। এ অংশে দেওয়া লোহার রেলিংও নেই। মাদকসেবীরা এই রেলিংয়ের অংশগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানান স্থানীয় দোকানদার লিটন মিয়া। পার্কের উত্তর দিকেও কয়েকটি স্থানে ফেলে রাখা হয়েছে ময়লা।
সবচেয়ে বড় ভোগান্তি পার্কের পশ্চিম দিকে। এই দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বন ওয়ার্ডের ময়লা রাখার স্থান। কলাবাগান অঞ্চলের সব ময়লা-আর্বজনা এখানে রাখা হয়। এ ময়লার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে পার্কের ভেতরে। এতে চরম অস্বস্তিতে পড়েন পার্কে আসা সাধারণ জনগণ।
পার্কের ভেতরে ময়লার ভাগাড়ের বিষয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সি মোহাম্মদ আবুল হাসেম বাংলানিউজকে বলেন, পান্থকুঞ্জ পার্কসহ আরও ৩১টি পার্কের সংস্কার কাজ শিঘ্রই শুরু হবে। এজন্য আমাদের টেন্ডার হয়েছে। এটা যাচাই-বাচাই করেই কোনো প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তখন পার্কের অবকাঠামো উন্নয়ন হবে। এতে জনসাধারণের আর কোনো অভিযোগ থাকবে না।
২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম এ হামিদ খান বাংলানিউজকে বলেন, পার্কের মধ্যে ময়লা আছে এগুলো আর থাকবে না। ভাসমান যেসব মানুষ এখানে দোকান বা ঝুপড়ি ঘর করে আছেন সেগুলোও থাকবে না। দুই সপ্তাহ পরেই পার্কের উন্নয়ন-মূলক কাজ শুরু হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার ওয়ার্ডে এ পার্ক হলেও এর পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ময়লা রাখার স্থান। যেটি পার্কে আসা মানুষদের কষ্ট দেয়।
এ বিষয়ে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হোসেন হায়দার বাংলানিউজকে বলেন, পার্কের পার্শ্বে ময়লা রাখা বিব্রতকর। কিন্তু আমাদের ওয়ার্ডে তেমন কোনো জায়গা না থাকায় এখানে ময়লা রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে পার্কের ভেতরে সম্প্রতি ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। পার্কে ঘুরতে আসা শহিদুল বলেন, ছিনতাইকারীরা মোবাইল, টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য কমাতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রতিদিন পার্কের ভেতরে শাহবাগ ও কলাবাগান থানা পুলিশের আলাদাভাবে ডিউটি থাকে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, এ পার্কটি সম্পন্ন ছিনতাইকারী-মুক্ত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টাই আমাদের টিম থাকে। যারা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত তাদের আমরা চিহ্নিত করে গ্রেফতার করছি। গতকালও (শুক্রবার) চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৮
ইএআর/ এসআইএস/