ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

এক পাথরে বহু প্রজাতির ডাইনোসরের পায়ের ছাপ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৮
এক পাথরে বহু প্রজাতির ডাইনোসরের পায়ের ছাপ এই শিলাখণ্ড ধারণ করে আছে কমপক্ষে ৭০ প্রজাতির ডাইনোসর ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর ১০০টি পায়ের ছাপ

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন একটি বড় আকৃতির শিলাখণ্ড। এ শিলাখণ্ডটি বহন করছে এ অঞ্চলে বসবাসকারী কোটি বছর আগের একাধিক ডাইনোসরের পায়ের ছাপ। এ অঞ্চলেই পরবর্তীকালে গড়ে ওঠে ওয়াশিংটন শহরের একটি বড় অংশ।

গবেষকদের অবাক করা শিলাখণ্ডটির দৈর্ঘ্য সাড়ে আট ফুট। যে স্থানে এটি পাওয়া গেছে সেটি বর্তমানে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পার্কিং লট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

শিলাখণ্ডটির সন্ধান পান জীবাশ্মবিদ রে স্ট্যানফোর্ড।

এ শিলাখণ্ডে রয়েছে কয়েক প্রজাতির ডাইনোসরের পায়ের ছাপ। এর মধ্যে রয়েছে থেরোপড নামে এক প্রজাতির ডাইনোসর। এদের বলা হয় টি-রেক্সের ছোট সংস্করণ। আরও রয়েছে তৃণভোজী ডাইনোসর সরোপড, প্রথম যুগের স্তন্যপায়ী, উড়ন্ত সরীসৃপ ও চারপেয়ে ডাইনোসরের পায়ের ছাপ।

ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোর প্রাণিবিদ্যার প্রভাষক মার্টিন লকলি বলেন, এটা সম্ভবত সবচেয়ে বড় শিলাখণ্ড যা এতো প্রজাতির ডাইনোসরের পদচিহ্ন বহন করছে। এতে আমরা প্রায় ১০০টি পদচিহ্ন শনাক্ত করতে পেরেছি। এগুলো প্রায় ১০ কোটি বছর পুরনো।

জানা যায়, জীবাশ্মবিদ রে স্ট্যানফোর্ড মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টে অবস্থিত নাসার দফতরে তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এলে ঘাসের আড়ালে একটি ব্যতিক্রমী শিলাখণ্ড দেখতে পান। শিলাখণ্ডটির অনন্য বৈশিষ্ট্য উৎসুক করে তোলে এই জীবাশ্মবিদকে। এরপর একদল স্বেচ্ছাসেবকের সহায়তায় খননকাজ চালানো হয় সেখানে।

এরপর শিলাখণ্ডটি নিয়ে চলে দীর্ঘদিন গবেষণা। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয় বিজ্ঞান সাময়িকী ‘সায়েন্স রিপোর্টস’-এ।

স্ট্যানফোর্ড জানান, এতে কমপক্ষে ৭০ প্রজাতির ডাইনোসর ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর ১০০টি পায়ের ছাপ রয়েছে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, এখানে তাকালে আমরা বিচিত্র সব প্রাণীর একই স্থানে ঘুরে বেড়ানোর প্রমাণ দেখতে পাই।

শিলাখণ্ডটি এখন নাসার গডার্ড স্পেসফ্লাইট সেন্টারে প্রদর্শনীর জন্য রাখা আছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮

এনএইচটি/এএ /জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।