ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

লোকজ মেলায় প্রাণের টান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
লোকজ মেলায় প্রাণের টান নবান্ন উৎসবে পিঠার স্টলে ক্রেতারা-ছবি-সুমন শেখ

ঢাকা: বিকেলের আলো এসে পড়তে শুরু করেছে রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবরে। সে আলোর সঙ্গেই দল বেধে আসছে মানুষ। বিপুল উৎসাহ আর উদ্দীপনা নিয়ে তারা নবান্ন উৎসবে যোগ দিচ্ছেন।

কথা হয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমার সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, গ্রামের উৎসব আর মেলাগুলো শহরে আসে এখানকার মানুষকে রাঙাতে, তখন তার সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করে তো আসতেই হয়।

গ্রামের এসব লোকজ উৎসবেই তো রয়েছে আমাদের প্রাণের টান।  

নবান্ন উৎসবে রয়েছে নাগরদোলাও-ছবি-সুমন শেখআবহমান বাংলার সংস্কৃতি নতুন করে সবার সামনে আনতেই প্রাণ চিনিগুড়া চাল আয়োজন করেছে তিন দিনব্যাপী নবান্ন উৎসবের। গত বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) শুরু হওয়া এ উৎসবে আছে পুথি পাঠ, গাজীর কিসসা, পালা গান, পুতুল নাচ, বায়োস্কোপ, নাগরদোলা, পালকি, লাঠি খেলা ও বানর নাচ।

এ আয়োজনে রয়েছে ঢেকি, কুলা, মাথাল, যাঁতাকলসহ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা প্রদর্শনী। এছাড়া ৩০টি স্টলে দেখা মিললো নানা রকমের নকশি পিঠার। স্টলে হৃদয় হরা, ননাস, নকশি পিঠা, খেজুরা, মুখ পাকন, পুলি, দুধপুলি, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, গজা লবঙ্গ, ফুল পিঠা, কলিজা পিঠা, ঝাল পাকন, চিতই, দুধ চিতইসহ বিভিন্ন রকমের নকশি পিঠা রয়েছে।

উৎসবে বায়োস্কোপে চোখ রেখেছে শিশুরা-ছবি-সুমন শেখ

পিঠা ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জানান, আগত দর্শনার্থীদের অধিকাংশই কিনছেন বিভিন্ন ধরনের পিঠা। তবে নকশি পিঠার চাহিদা বেশি। আর শহরে থাকার সুবাদে গ্রামীণ এ পিঠার স্বাদ সবসময় পাওয়া যায় না। আবার অনেকে শহরে সেভাবে তৈরি করতে পারেন না বলেও পিঠার কদর বেশি।  

মেলার আয়োজক বঙ্গ মিলারস লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহান শাহ আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, কালের বিবর্তনে আমাদের সংস্কৃতি থেকে অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসব হারিয়ে যাচ্ছে। নবান্ন উৎসবের মতো এমন গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে শহরের মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।

মেলায় আগত ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান জানান, শহরে এমন আয়োজন গ্রামের মেলাগুলোকে সবার সামনে এনে দেয়। নিজেদের ঐতিহ্যগুলোকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয় সবার সঙ্গে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
এইচএমএস/আরআর


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।