ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে 

বিভূতিভূষণ ও দীনবন্ধু মিত্রের প্রয়াণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
বিভূতিভূষণ ও দীনবন্ধু মিত্রের প্রয়াণ বিভূতিভূষণ ও দীনবন্ধু মিত্রের প্রয়াণ

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলা নিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।

০১ নভেম্বর, ২০১৭, বুধবার। ১৭ কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।  

ঘটনা
১৬০৪ - উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের ওথেলো প্রথম বারের মতো লন্ডনের হোয়াইট প্যালেসে মঞ্চায়িত হয়।
১৮৯৭ - ইতালিয়ান ফুটবল দল জুভেন্টাস ফুটবল ক্লাব গঠিত হয়।
১৯০৩ - পানামার স্বাধীনতাকামী জনতার আন্দোলন সফল হয় এবং তারা স্বাধীনতা অর্জন করে।
১৯৫২ - যুক্তরাষ্ট্র সর্ব প্রথম হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালায়। এই বোমাটি হিরোশিমাতে নিক্ষিপ্ত বোমার চেয়ে প্রায় পাঁচশো গুণ বেশি শক্তিশালী।
১৯৫৪ - আহমদ বিন বালার নেতৃত্বে আলজেরিয়ায় স্বাধীনতাকামী যুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৬৪ - প্রথম পোস্ট অফিসের মাধ্যমে মানি অর্ডার পদ্ধতি চালু হয়।
১৯৮১ - অ্যান্টিগুয়া ও বারমুডা স্বাধীন হয়।
১৯৯২ - বাংলাদেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার মূল ক্যাম্পাস উদ্বোধন করা হয়।
২০০৭ - বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে নির্বাচন বিভাগ থেকে আলাদা করা হয়।

জন্ম
১৮৭৮ - কার্লোস সাভেদ্রা লামাস, আর্জেন্টাইন রাজনৈতিক নেতা, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী।
১৯৪৯ - মাইকেল ডি. গ্রিফিন, নাসার প্রধান প্রশাসক।
১৯৫০ - রবার্ট বি. লাফলিন, আমেরিকান পদার্থবিদ, নোবেল পুরস্কার পদার্থবিজ্ঞান বিজয়ী।
১৯৬৮ - আকরাম খান, সাবেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার।
১৯৭৩ - ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, ভারতীয় অভিনেত্রী।
১৯৭৪ - ভিভিএস লক্ষণ, ভারতীয় ক্রিকেটার।

মৃত্যু
১৮৭৩ - দীনবন্ধু মিত্র, নাট্যকার। দীনবন্ধু মিত্র উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা নাটকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রূপকার। সমকালীন হিন্দুসমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রহসন রচনা করেও খ্যাতি অর্জন করেন। সমাজের সাধারণ মানুষ সম্বন্ধে বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিই তার রচনার প্রধান প্রেরণা। তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নাটক ও প্রহসন হলো: নবীন তপস্বিনী (১৮৬৩), বিয়ে পাগলা বুড়ো (১৮৬৬), সধবার একাদশী (১৮৬৬), লীলাবতী (১৮৬৭), জামাই বারিক (১৮৭২), কমলে কামিনী (১৮৭৩) প্রভৃতি। সধবার একাদশী ও লীলাবতী উচ্চাঙ্গের সামাজিক নাটক। বিয়ে পাগলা বুড়ো ও জামাই বারিক দু’টি প্রহসন। বাংলার আধুনিক নাট্যধারার প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমসাময়িক দীনবন্ধু অবশ্য মাইকেল প্রবর্তিত পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক নাট্যরচনার পথে না গিয়ে বাস্তবধর্মী সামাজিক নাট্যরচনায় মনোনিবেশ করেন। এই ধারায় তিনিই হয়ে ওঠেন পরবর্তীকালের নাট্যকারদের আদর্শস্থানীয়। যা আজও বাংলা নাটকের জন্য আলোর পথ হয়ে আছে।

১৯৫০ - বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়, একজন বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি মূলত উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। পথের পাঁচালী ও অপরাজিত তার সবচেয়ে বেশি পরিচিত উপন্যাস। অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আরণ্যক, আদর্শ হিন্দু হোটেল, ইছামতী ও অশনি সংকেত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসের পাশাপাশি বিভূতিভূষণ প্রায় ২০টি গল্পগ্রন্থ, কয়েকটি কিশোরপাঠ্য উপন্যাস ও কয়েকটি ভ্রমণকাহিনী এবং দিনলিপিও রচনা করেন। বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। ১৯৫১ সালে ইছামতী উপন্যাসের জন্য বিভূতিভূষণ পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।