ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

কল্পনাকেও হার মানায় যে আম গাছ!

মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৪ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
কল্পনাকেও হার মানায় যে আম গাছ! ঠাকুরগাঁওয়ের বিস্ময় আম গাছ/ছবি: চামেলী

ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙি থেকে: বালিয়াডাঙি উপজেলা থেকে ১২ কিলোমিটার দ‍ূরে সুবজ-শ্যামল সীমান্ত ইউনিয়ন হরিণমারি। এই ইউনিয়নের নয়াপাড়ার একটি আম গাছ উপমহাদেশের বিস্ময় গাছ হিসেবে পরিচিত। কথিত রয়েছে ২শ বছরের ইতিহাসের নীরব সাক্ষী তিন বিঘা জমির উপর ঠাঁই নেওয়া আম গাছটি। যার বিশালাকৃতি মানুষের কল্পনাকেও হার মানায়।

প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঠাকুরগাঁও ঘুরতে আসা মানুষ ইতিহাস হয়ে যাওয়া এ গাছটি দেখতে আসে। দ‍ূর থেকে গাছটির আকৃতি ডাল-পালা দেখলে মনে হব যেন একটা বিশালাকৃতির ঝাউ গাছ।



গাছটির সবচেয়ে বিস্ময় এর ডাল। ডালগুলো মূলকাণ্ড থেকে বেরিয়ে একটু উপরে উঠেই তা মাঠিতে নেমে গেছে, তারপর আবারও উঠেছে উপরমুখী হয়ে। দেখতে অনেকটা টেউয়ের মতো। মূলকাণ্ড থেকে বের হয়েছে গাছটির ২০টি শাখা। শাখাগুলোর দৈর্ঘ্য ৪০ থেকে ৫০ ফুট। গাছের প্রতিটি ডালে অনায়াসে হাঁটাচলা ও বসা যায়। ডালগুলো একেকটা মাঝারি সাইজের আম গাছের আকৃতির মতো।
ঠাকুরগাঁওয়ের বিস্ময় আম গাছ/ছবি: চামেলী
উত্তরাধিকার সূত্রে গাছটির মালিক শরিফ উদ্দিন ছেলের সাইদুর রহমান মোল্লা ও তার ভাই নুর ইসলাম।

নুর ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গাছটি আমার বাবার দাদার দাদা লাগিয়েছিলেন বলে শুনেছি। এর বয়স আনুমানিক ২শ বছর হবে। প্রতিবছর গাছটিতে দেড়শ মন আম হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ দেখতে আসে। এ কারণে আমরা জায়গাটি একটু সুন্দর করার চেষ্টা করেছি। ঈদে অনেক মানুষ গাছটি এক পলক দেখার জন্য আসে।  

গাছটি যাতে ভালো থাকে এর জন্য নিয়মিত স্প্রে ও প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয় বলে জানান নুর ইসলাম।

চারপাশ ঘুরে দেখা যায়, ঘুরতে আসা মানুষের জন্য এখানে পিকনিক স্পট ও দোকান-পাট বসানো হয়ে। নিরাপত্তার ব্যবস্থাও রয়েছে। দেখার জন্য ১০ টাকা টিকিট কেটে ঢুকতে হয়। ইচ্ছেমতো গাছের ডালে বসে এর সুশীতল বাতাস, ছায়া উপভোগ করতে পারে যে কেউ।
ব্যাটারিচালিত অটোতে ঘুরতে এসেছেন সজীব ও তার বন্ধুরা। ডিএসএলার ক্যামেরা দিয়ে একের পর এক ক্লিক করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী গাছটির সঙ্গে নিজেকে বন্দী করে যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের বিস্ময় আম গাছ/ছবি: চামেলী
সজীব বলেন, আমরা পঞ্চগড় থেকে বেড়াতে এসেছি। গাছটির কথা অনেক শুনেছি। নিজের চোখে দেখেও বিশ্বাস হচ্ছিলো এতো বড় আম গাছ হয়! আমি কল্পনাও করতে পারছি না।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, জুন ১০,২০১৭
এমসি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।