ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসে এই দিন

বুদ্ধদেব বসু ও আবুল মনসুর আহমদের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৭
বুদ্ধদেব বসু ও আবুল মনসুর আহমদের প্রয়াণ

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১৮ মার্চ, ২০১৭, শনিবার। ০৪ চৈত্র, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
• ১৭৮৬ - কলকাতায় ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে জেনারেল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া স্থাপিত হয়।
• ১৮০০ - শ্রীরামপুর মিশনে বাংলা ভাষায় প্রথম বই ‘সমাচার’ প্রকাশিত হয়।
• ১৮৭১ - ফ্রান্সে শ্রমজীবী মানুষের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে প্যারি কমিউন প্রতিষ্ঠিত হয়।
• ১৯৬৫ - সোভিয়েত নভোচারী আলেক্সি লিওনভ মহাশূন্যে মানুষের পদচারণার প্রথম ইতিহাস সৃষ্টি করেন।

ব্যক্তি
• ১৫৮৪ - রাশিয়ার জার ইভান দ্য টেরিবলের মৃত্যু।
• ১৮৫৮ - ডিজেল ইঞ্জিনের জার্মান উদ্ভাবক রুডলফ ডিজেলের জন্ম।
• ১৯১০ - শিশু সাহিত্যিক বিমল ঘোষের (মৌমাছি) জন্ম।
• ১৯১২ - কথাসাহিত্যিক বিমল মিত্রের জন্ম।
• ১৯৭৪ - খ্যাতিমান কবি, কথাসাহিত্যিক, সমালোচক ও সম্পাদক বুদ্ধদেব বসুর মৃত্যু। ১৯০৮ সালের ৩০ নভেম্বর কুমিল্লায় জন্ম নেওয়া বুদ্ধদেব বিংশ শতাব্দীর বিশ ও ত্রিশের দশকের নতুন কাব্যরীতির সূচনাকারী অন্যতম কবি বলে সমাদৃত। সাহিত্য সমালোচনা ও কবিতা পত্রিকার প্রকাশ ও সম্পাদনার জন্যও তিনি বিশেষভাবে সম্মাননীয়। তার উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে- মর্মবাণী, সাড়া, অভিনয়, অভিনয় নয়, হঠাৎ-আলোর ঝলকানি, মায়া-মালঞ্চ, কালিদাসের মেঘদূত, সব-পেয়েছির দেশে, আমার ছেলেবেলা ও আধুনিক বাংলা কবিতা। সাহিত্যে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ভারত সরকারের ‘পদ্মভূষণ’সহ অসংখ্য সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত হন।
• ১৯৭৯ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদের প্রয়াণ। ১৮৯৮ সালে ময়মনসিংহ জেলার ধানিখোলা গ্রামে জন্ম নেওয়া আবুল মনসুর পেশাদার সাংবাদিক হলেও খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, বামপন্থি কংগ্রেস সমর্থিত ‘কিষাণ সভা’ ও ‘কিষাণ সমিতি’সহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনে যুক্ত ছিলেন। পরে ১৯৪৯ সালে আবুল মনসুর আহমদ মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এরপর ১৯৫৫ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তিনি যুক্তফ্রন্ট সরকারের একাধিক মন্ত্রণালয়েও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করলে কারারুদ্ধ হন আবুল মনসুর। কারামুক্ত হয়ে রাজনীতি থেকেই অবসর নেন তিনি। রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকলেও বিদ্রুপাত্মক রচনার লেখক হিসেবেই সমধিক পরিচিত আবুল মনসুর। তাঁর বিখ্যাত বিদ্রুপাত্মক রচনা হচ্ছে: আয়না ও ফুড কনফারেন্স। তার উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে- সত্যমিথ্যা, জীবন ক্ষুধা ও আবে-হায়াৎ, আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর, শের-ই-বাংলা থেকে বঙ্গবন্ধু এবং আত্মকথা। সাহিত্যে অবদানের জন্য তাকে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পদক ও নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।