ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ফিচার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

আট বন্ধুর অন্যরকম প্রচেষ্টা

শেরিফ আল সায়ার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১১
আট বন্ধুর অন্যরকম প্রচেষ্টা

‘বন্ধুরা সবাই মিলে অনেক দিন থেকে কিছু একটা করার চিন্তা করছিলাম। যেহেতু সাংবাদিকতায় পড়ছি তাই সাংবাদিকতা বিষয়ে চর্চা প্রয়োজন।

শুধু পড়লেই তো হবে না। কাজও তো কিছু শিখতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আমাদের কাজ করার কোনো ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়নি। তাই বন্ধুরা মিলে চেষ্টা করলাম একটা ক্ষেত্র তৈরী করার। যেখানে আমরা ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবো। এছাড়াও আজ আমরা যেই সমস্যাটা দেখতে পাচ্ছি ঠিক একই সমস্যায় যাতে আমাদের ছোট ভাই-বোনদের পড়তে না হয় সেই ব্যবস্থাও করা উচিত। সেখান থেকেই ক্যাম্পাস নিয়ে একটি নিউজ পোর্টালের বুদ্ধিটা আমাদের মাথায় আসে’। এভাবেই গল্পটি বলছিল সোহেল রানা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের আশরাফুল আলম, আব্দুল্লাহ মামুন, বারেক কায়সার, নুরুল আমিন জাহাঙ্গীর, কাজী মনঞ্জুরুল ইসলাম, সোহেল রানা, সারোয়ার আলম ও সোহেল পাটোয়ারীর চেষ্টাতেই শুরু হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ২৪ ঘন্টার ক্যাম্পাস ভিত্তিক অনলাইন সাইট (www.CUnews24.com)।
 
শুধুমাত্র আট তরুণ শিক্ষার্থীর উদ্যোগেই শুরু হয় এই অনলাইন ক্যাম্পাস ভিত্তিক সাইটি।

এই সাইটে আছে ‘ক্যাম্পাস হালচাল’ নামে বিভাগ যেখানে ক্যাম্পাসের সর্বশেষ সংবাদ থাকে। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য স্থানের উপর ‘ফিচার’ বিভাগ। আছে ‘অন্যান্য ক্যাম্পাস’ নামেও বিভাগ। যেখানে বাংলাদেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে লেখা  (কেউ যদি দিতে চায়) পাঠানো যাবে।

একটি ওয়েব-সাইট মানেই ডিজাইনের বিষয়টি চলে আসে। ডিজাইন করতেও তো অর্থ প্রয়োজন। এই প্রশ্নের উত্তরে তারা বলে, ‘আসলে আমাদের আট বন্ধুর মধ্যেই ডিজাইনার আছে। ঐ বন্ধুই সম্পূর্ণ ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজটা করেছে। আর অর্থের যতটুকু প্রয়োজন হয়েছে সেটুকু করেছে আমাদের বড় ভাইয়েরা। তাঁরাও উৎসাহ দিয়েছেন। ’

পড়াশোনার ক্ষতি হয় না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা বলে ওঠে, ‘আসলে পড়াশোনার ক্ষতি করে কিছু তো করার সুযোগ নেই। আমরা সবাই মিলে সময়কে ভাগ করে কাজগুলো করি। এছাড়া আমাদের ছোটদেরও উদ্বুদ্ধ করছি কাজ করতে। তারাও যথেষ্ঠ উৎসাহ পাচ্ছে। ’

রানা বলছিল, ‘আজকে ক্যাম্পাসে আছি। একদিন পড়াশোনা শেষ করে জীবিকার তাগিদে তো চলে যাবো। তখন অনেক দূরে বসেও আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব খবরগুলো একসাথে পেয়ে যাবো। এটা ভাবতেই তো ভালো লাগে। ’  

এভাবেই তারা স্বপ্নের কথা বলছিল। আট বন্ধু-ই প্রযুক্তির সাথে সাংবাদিকতার মিলনটা আয়ত্ব করতে চায়।

তারা পৃথিবীব্যপি তথ্যের বিজয় দেখতে চায়। এমন উদ্যোগী তরুণ দেশে বড্ড প্রয়োজন। অন্যের জন্য অপেক্ষা নয় নিজ থেকেই করে ফেলার সাহস আমাদের সবার প্রয়োজন। জাতিকে তো এভাবেই উঠে দাঁড়াতে হবে।

আট বন্ধুর এই ভিন্ন রকম প্রচেষ্টা সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের ভিন্নরকম সাহস জোগাবে বলেও তাঁরা আশা প্রকাশ করেন। তাঁরা এও বিশ্বাস করেন- তরুণদের শুধু আত্ববিশ্বাসটা দিয়ে দিলেই তারা পৌছে যাবে অনেক দূরে।

বাংলাদেশ সময়:  ১৭৪৭, মে ২২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।