এই প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশি জাদুকর পেলেন জাদুর জগতে ‘অস্কার’ নামে খ্যাত ‘দ্য মার্লিন এওয়ার্ড’। দুনিয়াব্যাপী জাদুকরদের সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল ম্যাজিশিয়ান সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট টনি হাসিনি এই ঘোষণা দিতে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।
হাসিনি ৪ জানুয়ারি হোটেল সোনারগাঁও-এ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেবেন। প্রতি তিন বছর পর পর ব্যাপক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেওয়া হয় এই পুরস্কার। এ বছরের পুরস্কার বিতরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে। বলা বাহুল্য, অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন পৃথিবীর বিখ্যাত জাদুকররা।
টনি হাসিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘কিছু নির্দিষ্ট দিক বিবেচনা করে আমরা আলীকে এই জাদুর জগতে ‘অস্কার’ নামে পরিচিত ‘দ্য মার্লিন এওয়ার্ড’-এর জন্য নির্বাচিত করেছি। যেমন, আলীর জাদুতে রয়েছে ঐতিহ্যের ছোঁয়া। তিনি তার জাদু পরিবেশনের ক্ষেত্রে একটি বিশিষ্ট স্টাইল সৃষ্টি করেছেন। ’
টনির মতে, বর্হিবিশ্বে, বাংলাদেশ তথা এই উপমহাদেশকে জাদুর অন্যতম উৎপত্তিস্থান হিসেবে শ্রদ্ধার চোখে দেখা হয়। ‘জাদুশিল্পে বাংলাদেশের নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে। তবে বিভিন্ন কারণে জনমনে জাদু সম্পর্কে বাজে ধারণা সৃষ্টি হয়ে আছে। এসব ভুল ধারণা থেকে তরুণদের মুক্ত করতে হবে। তাদের ভেতর সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এবং জাদুশিল্পের আনন্দময় দিকগুলো তুলে ধরতে হবে,’ হাসিনির অভিমত।
১৯৪১ সালে উত্তর সাইপ্রাসে জন্মগ্রহণকারী তুর্কি বংশোদ্ভূত এই মার্কিন নাগরিক হাসিনি বিশ্বাস করেন, প্রাচ্যের জাদুশিল্প মরমী ভাবধারা সমৃদ্ধ। ‘তাই পাশ্চাত্যের জাদুশিল্পীদের ভেতর প্রাচ্যের জাদু সম্পর্কে ব্যাপক আগ্রহ আছে। বাংলাদেশের আলীরাজ তার শিল্পকর্ম প্রদর্শন করে আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। ’
বিশিষ্ট জাদুকর আলীরাজ নিজের অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘জাদুর জগতে সবচেয়ে বড় পুরস্কার পেয়ে আমি যার পর নাই খুশি। এই গৌরব গোটা দেশের। ’ বাংলানিউজের কাছে অভিমত ব্যক্ত করে তিনি আরো বলেন, ‘এর ফলে আমাদের দেশের কথা বর্হিবিশ্বের লোকজন আরো ভালো করে জানতে পারবেন। ’
তিনি আশা করেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাওয়া এই পুরস্কার বাংলাদেশের এই শিল্পকলা সম্পর্কে তরুণদের মনে আগ্রহ সৃষ্টি করবে।
বাংলাদেশ সময় ২০৫০, জানুয়ারি ৩, ২০১১