৩ জানুয়ারি বিকেলে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুরান ঢাকার নিমতলীতে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ একটি গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান।
এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পিছনে পৃথিবীবিখ্যাত ভারততাত্ত্বিক ও পুরাতাত্ত্বিক আহমেদ হাসান দানি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। প্রতিষ্ঠাতাদের আরো আছেন মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, এ বি এম হাবীবুল্লাহ, আব্দুল হালিমসহ অনেকে। প্রতিষ্ঠাতারা চেয়েছিলেন এটি যেন বিশেষ করে এশিয়াবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। আর সেই কাজটিই বিভিন্নভাবে করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এনজিও ব্যুরো এবং ১৮৬৪ সালের সামাজিক আইনের অধীনে নিবন্ধীকৃত। বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি ১৭ সদস্যবিশিষ্ট এক কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত হয়, যা সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়। এই কাউন্সিলের মেয়াদ ২ বছর।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি প্রফেসর সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাহফুজা খানম। এছাড়া ‘অ্যাসপেক্টস অব বাংলাদেশী এক্সপেরিয়েন্স ইন দ্য ইউনাইটেড কিংডম’ শিরোনামে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন লন্ডনের সমাজকর্মী ড. নাজিয়া খানম। প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
ড. নাজিয়া খানম তার প্রবন্ধে তাত্ত্বিকভাবে বিশ্লেষণ করেন ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশীদের জীবন-যাপন, সেখানে বাংলাদেশীদের আলাদা শক্তিশালী কমিউনিটি গড়ে ওঠা, বাংলাদেশীদের জীবীকানির্বাহের পন্থা, শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে । তিনি বলেন, ৯/১১-এর পর ব্রিটেনে বাংলাদেশী মুসলমানদের জীবনযাত্রা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময় ২০৩০, জানুয়ারি ৩, ২০১০