ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

দেশি স্বাদে বিদেশি খাবার

রবাব রসাঁ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১০
দেশি স্বাদে বিদেশি খাবার

সন্ধ্যা থেকেই হোটেল শেরাটনের বলরুমের বাতাস ছিল মৌ মৌ সুবাসে ভরপুর। আঙিনায় হালকা আলোকচ্ছটা।

দিনটি ২৫ অক্টোবর, সোমবার। এক এক করে, কখনো বা জোড় বেঁধে আসছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। উৎসবের প্রথম দিন, তাই আমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যাই বেশি। তবে আপনি বাকি দিনগুলোয় অংশ নিতে পারেন। এটি চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।

ঢাকা শেরাটনে চলছে সপ্তাহব্যাপী খাদ্য উৎসব। শিরোনাম ‘টেস্ট অব ব্রিটেন কারি ফেস্টিভ্যাল’। যৌথভাবে আয়োজন করেছে ঢাকা শেরাটন আর ব্রিটেনের ‘কারি লাইফ’ ম্যাগাজিন। প্রায় পঞ্চাশটি ফুড আইটেমে সাজানো হয়েছে এই ফেস্টিভ্যাল। দাম রাখা হচ্ছে জনপ্রতি ১৮০০ টাকা, তবে শিশুদের জন্য ১৫০০ টাকা।

উৎসব চলাকালে প্রতিদিন সান্ধ্যভোজে থাকবে এসব আয়োজন। ফিউশন ফুড বলে খ্যাত এই খাবারগুলোতে রয়েছে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের স্বাদের মেলবন্ধন। ব্রিটেনে বাঙালিদের সুনাম আছে সেখানকার খাদ্যশিল্পে। এসব বাঙালির অধিকাংশের শেকড় রয়েছে বাংলাদেশে, বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে। তাই তাদের তৈরি করা খাবারে রয়েছে দেশের স্বাদ।

আয়োজকরা উৎসবটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ব্রিটেনের চারজন সুপরিচিত পাচককে। এরা হলেন পার্থ মিত্র, আবুল মনসুর জুয়েল, শাহিদুর রহমান এবং অমিতাভ পাল। রান্নার জাদুতে তারা ইতিমধ্যেই মুগ্ধ করেছেন তাদের চারপাশ। আয়োজকরা জানান, এবার অংশ নেওয়া চারজন শেফেরই আছে রান্নার বিশেষ অভিজ্ঞতা। ফিউশন ফুডকে তারা অস্থিমজ্জায় চেনেন। এর গভীরের স্বাদটুকু তাদের জাদুকরি রান্নার গুণে মূর্ত হয়ে উঠে প্রতিদিন।

বহুজাতিক ব্রিটেনের ছোট-বড় প্রতিটি শহরেই দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করছে ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টগুলো। এর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। সিংহভাগই বাঙালিদের। নামে ইন্ডিয়ান ফুড হলেও আসলে এখানে ঘটেছে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি খাবারের সংমিশ্রণ। খাবারের তালিকায় রয়েছে সাতকরা বিফ, সাদা ভাত, জলপাই চিকেন, ডাল ইত্যাদি। উপমহাদেশীয় খাবারেরও প্রবেশ ঘটেছে এই ফিউশন ফুডের তালিকায়। তাই কাবুলি পোলাও আর নানা স্বাদের ভারতীয় সবজির কারিও রসনা মেটায় ভোজন-রসিকদের।

‘কারি লাইফ’ ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা ঢাকার উৎসবকে একটু বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি, কারণ এ ধরনের উৎসবের মাধ্যমে ব্রিটেনের খাদ্যশিল্পে বাংলাদেশিদের অবদান সম্পর্কে এ দেশের জনমনে একটা ধারণা সৃষ্টি সম্ভব হবে। আমরা দেশে-বিদেশে সর্বত্র এ দেশের মানুষদের সাফল্য তুলে ধরতে চাই। ’

বাংলাদেশ সময়: ২২১০ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।