ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

কর্মজীবী শিশুদের আলোকচিত্র নিয়ে প্রদর্শনী

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১০
কর্মজীবী শিশুদের আলোকচিত্র নিয়ে প্রদর্শনী

ইউনিসেফ ঝুঁকিসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সুরক্ষার জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে তারা সুরক্ষা প্রকল্পের [পিসিএআর] অধীনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহযোগিতাদানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

সম্প্রতি ইউনিসেফ ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী ২০ জন কিশোর-কিশোরীকে পাঁচ দিনের এক আলোকচিত্র প্রশিক্ষণ প্রদান করে। তারপর এক সপ্তাহের জন্য তাদের প্রত্যেককে একটি করে ডিজিটাল ক্যামেরা দেয়। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, ক্যামেরা হাতে ওই শিশু-কিশোররা এক সপ্তাহে ২৭ হাজার ছবি তোলে।

২৫ অক্টোবর সোমবার বিকেলে ইউনিসেফ ও দৃক ফটো লাইব্রেরির যৌথ উদ্যোগে ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে ২৭ হাজার ছবি থেকে নির্বাচিত কিছু ছবি নিয়ে ‘লিভিং ইন দি আরবান জাঙ্গল’ শীর্ষক একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য হলো ঢাকা ও বরিশালে বসবাসকারী শ্রমজীবী শিশুদের আলোকচিত্রের মাধ্যমে তাদের নিজেদের কাহিনী তুলে ধরতে উৎসাহিত করা। ইউনিসেফ নরওয়ের জাতীয় কমিটির মাধ্যমে টেলিনর এই কাজে অর্থায়ন করছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডি রয়, পাঠশালা-সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব ফটোগ্রাফির অধ্যক্ষ শহীদুল আলম এবং টেলিনর বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার পার এরিক হিল্যান্ড। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শ্রমজীবী ২০জন শিশু আলোকচিত্রীও।

শহীদুল আলম বলেন, ‘যেসব ছবি তারা তুলেছে সেগুলো তাদের মনোবলের সঙ্গে খুবই সামঞ্জস্যপূর্ণ। তারা সত্যিকারের পরিণত মন ও শিল্পবোধের পরিচয় দিয়েছে। এসব শিশু-কিশোর সাধারণভাবে পরিচিত পরিবেশে অসাধারণ, প্রতীকী ও একান্ত ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলেছে, যেন পাকা সাংবাদিকের দক্ষতা দিয়ে। গৎবাঁধা শিক্ষা থেকে লাভ-করা শিল্পবোধ থেকে মুক্ত কয়েকজন কিশোর-কিশোরী তাদের কাজে যে স্বাধীনতা দেখিয়েছে তা ‘সুশিক্ষিত’ অনেক চিত্রশিল্পী অনেক আগেই হারিয়ে বসেছেন। এ হলো স্বতঃস্ফূর্ততারই প্রকাশ। ’

এছাড়া আলোকচিত্রী শিশু-কিশোরদের মধ্য থেকেও কেউ কেউ তাদের নিজস্ব অনুভূতি ও ছবি তোলার অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করে। তারা প্রত্যেকেই পরবর্তীকালে ছবি তোলাকে পেশা হিসেবে গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করে। তারা চায় তাদের যেন ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা দেওয়া হয়।
 
প্রদর্শিত ছবিগুলিতে শহরের রাস্তা ও কঠিন পরিবেশে বসবাসকারী শিশু-কিশোরদের অবস্থা, কাজ করতে বাধ্য-হওয়া শিশুদের দৃশ্য ধরা পড়েছে। একই সাথে ছবিগুলো থেকে এসব শিশুর মনোজগতের একটি ধারণাও লাভ করা যায় : তাদের আনন্দ, তাদের বেদনা, তাদের স্বপ্ন।

২৬ অক্টোবর থেকে এই শিশু-কিশোরদের ছবির প্রদর্শনী শুরু হবে দৃক গ্যালরিতে। চলবে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। শেষ হবে ১ নভেম্বর। এছাড়া বরিশাল অশ্বিনী কুমার হলে শুরু হবে ৫ নভেম্বর। চলবে প্রতিদিন ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। শেষ হবে ১২ নভেম্বর।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০৩৫, অক্টোবর ২৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।