কৃষির সাথে যুক্ত ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ীদের নতুন কৃষিপ্রযুক্তি ও পণ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ৫ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধন করা হলো ৩ দিনব্যাপী ‘বাংলালিংক এগ্রো বাংলাদেশ কৃষিমেলা ২০১০’।
‘আগামী দিনের কৃষি’ স্লোগান নিয়ে কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। এ মেলাতেই বাংলালিংকের সিইও আহমেদ আবু দোমা, এগ্রিকালচার ইনফরমেশন সার্ভিসের ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম ‘বাংলালিংক ইনফরমেশন ডেসিমিনেশন সার্ভিসে’র উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সার্ভিসের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয় এসএমএস করে মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ এবং কৃষিভিত্তিক পেশার মানুষের কাছে জরুরি কৃষিবিষয়ক তথ্য দ্রুত পৌঁছে দিতে পারবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের সিসিও আশের ইয়াকুব খান এবং সিটি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাইল আর কে হোসেন।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া তার ভাষণে বলেন, ‘কৃষকদের শুধু অর্থনৈতিক সুবিধা দিলেই চলবে না, টেকসই কৃষিখাতের জন্য তাদের হাতে নতুন নতুন প্রযুক্তিও তুলে দিতে হবে। তথ্য ও আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ফসল সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং সময়মতো তা বাজারজাতকরণের সহায়তা দিতে হবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষিকে ডিজিটালাইজড করতে ইতোমধ্যে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কৃষি তথ্য সার্ভিস এ পর্যন্ত দশটি কৃষি অঞ্চলে ২০টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এসব কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে ল্যাপটপ, ডেক্সটপ কম্পিউটার, ইন্টারনেট মডেম, প্রিন্টার, মোবাইল ফোন, মাল্টিমিডিয়া ও জেনারেটর ইত্যাদি। ’
মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশ। অন্যান্য দেশের মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনাম, ভারত, থাইল্যান্ড, কোরিয়া, তাইওয়ান, চীন, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, জাপান, নেদারল্যান্ড, তুরস্ক ও ইউকে। এখানে ১০০ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান ১৫০টি স্টলে তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে।
পণ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ফসলের বীজ, সার, সেচযন্ত্র ও এর যন্ত্রাংশ, ট্রাক্টর, ফসলকে পোকামাকড় বা রোগের হাত থেকে রক্ষার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন কীটনাশকসহ বিচিত্র কৃষিবিষয়ক উপকরণ।
মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। শেষ হবে ৭ অক্টোবর।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬৪০, অক্টোবর ০৫, ২০১০