ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

জসিম-মান্নার মতো অভিনেতা না থাকায় চলচ্চিত্রের এই দশা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৮
জসিম-মান্নার মতো অভিনেতা না থাকায় চলচ্চিত্রের এই দশা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন মিশা সওদাগর। ছবি:রাজীন চৌধুরী

এফডিসি ও পরিচালক সমিতির অভিনয়শিল্পী সংগ্রহের কার্যক্রম ‘নতুন মুখের সন্ধানে’র মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। ২৭ বছর পর আবারও এই প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে।

আর এই নিয়ে শনিবার (১৪ জুলাই) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে মিশা সওদাগর বলেন, ‘জসিম ভাই ও মান্নার মতো অভিনেতা ও গবেষক নেই বলে আজকে চলচ্চিত্রের এই দশা। ’

‘আমাকে কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, নায়ক সালমান শাহ মারা যাওয়ার পর চলচ্চিত্রের বেশি ক্ষতি হয়েছে নাকি মান্না মারা যাওয়ায়? আমি অবশ্যই বলবো, মান্না চলে যাওয়ায় চলচ্চিত্রের বেশি ক্ষতি হয়েছে।

কারণ তারকা নায়ক ছিলেন সালমান শাহ। কিন্তু গবেষক নায়ক ছিলেন মান্না। সিনেমা কিভাবে চলবে, দেশের মানুষ কিভাবে খুশি হবেন, ইন্ডাস্ট্রি কিভাবে চালু থাকবে সে বিষয় মান্না তৎপর ছিলেন। আজকের চলচ্চিত্রের যেই দশা, তার অর্ধেক মান্নার মৃত্যুর পর হয়েছে। তার জন্য আমার গভীর শ্রদ্ধা। ’

চলচ্চিত্রে শিল্পী সংকট রয়েছে বলে অনুষ্ঠানে মিশা মন্তব্য করেন। তার ভাষ্যে, ‘আমাদের আসলে সঙ্কটের শেষ নেই। শিল্পীদের প্রতিনিধি হিসেবে আমি বলছি, এদেশে শিল্পী নেই। শিল্পী অনেক রকম হয়। কিন্তু মানুষ দেখে খুশি হবেন, দেখে টাকা দেবেন, তালি দেবেন ও মানুষের ভেতর নাড়িয়ে দেবে, এমন শিল্পীর অনেক অভাব। যারা আছেন তারা সংখ্যায় হাতেগোনা ৪ থেকে ৫ জন। ১৮ কোটি মানুষের জন্য ৪ থেকে ৫ জন শিল্পী যথেষ্ট হতে পারে না। ’

জনপ্রিয় এ খল-অভিনেতা আরও বলেন, ‘চলচ্চিত্রের সমস্ত দিকে সঙ্কট। বড় সিনেমা হয় না। প্রযোজক নেই। সিনেমা মুক্তির স্থান ঠিক নেই। পরিচালকদের সঠিক সম্মান দিতে পারিনি, পাইরেসি বন্ধ করতে পারিনি তাই তারা অভিমান করে দূরে আছেন। ’

‘নতুন মুখের সন্ধানে-২০১৮’ প্রসঙ্গে ‘সুপারহিরো’খ্যাত অভিনেতা বলেন, আমি মূলত ঢাকার ছেলে। আমার উচ্চারণসহ অনেকগুলো সমস্যা ছিল। কিন্তু ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার গ্রুমিংয়ের মাধ্যমে আমি একটি ফ্লাটফর্মে দাঁড়িয়েছি। দেরিতে হলেও পরিচালক সমিতির এই উদ্যোগকে আবারও এই আয়োজন করার জন্য স্বাগত জানাই। যারা অনুষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষকতা করছেন তাদের সাধুবাদ জানাই। সবাইকে মন থেকে সাহায্য করতে হবে। চলচ্চিত্রের এই বিপর্যস্ত অবস্থায় আমাদের সবার এগিয়ে আসতে হবে। তবে শুধু নায়ক-নায়িকা নয়, আমাদের ভিলেন প্রয়োজন, কমেডিয়ান থেকে শুরু করে শিশুশিল্পীও প্রয়োজন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৮
জেআইএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।