ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

না ফেরার দেশে অভিনেত্রী রানী সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৮
না ফেরার দেশে অভিনেত্রী রানী সরকার রানী সরকার

ঢাকা: ষাট ও সত্তর দশকের জনপ্রিয় খল-অভিনেত্রী রানী সরকার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি...ইলাইহি রাজিউন)।

শনিবার (৭ জুলাই) ভোর চারটার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ইডেন মাল্টিকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

শিল্পী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক ও নাট্যনির্মাতা জি এম সৈকত রানী সরকারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রখ্যাত এই খল-অভিনেত্রী বার্ধক্যজনিত ছাড়াও পিত্তথলিতে পাথর, বাতজ্বর, জটিল কোলেলিথিয়েসিস রোগসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।  সকালে এই গুণী অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনিসহ অন্য অভিনেতা-অভিনেত্রীরা হাসপাতালে এসেছেন।

রানী সরকারে দুই ভাই আগেই মৃত্যুবরণ করেন। এক ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে ছিল তার বসবাস। তাকে সার্বক্ষণিক দেখভাল করতেন তার বড় ভাইয়ের ছেলে মিজানুর রহমান। মৃত্যুর সময় তিনি ‘বেহুলা’খ্যাত এই অভিনেত্রীর পাশেই ছিলেন।

মিজান বাংলানিউজকে বলেন, কিডনিতে পাথর, লিভার ও রক্তের বিভিন্ন রোগে ফুফু আক্রান্ত ছিলেন। শুক্রবার (৬ জুলাই) দিনগত রাতে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান তার রক্তের হিমোগ্লোবিন ৩-এ নেমে গেছে এবং অবস্থা গুরুতর। তাই সেখান থেকে আমরা ইডেন মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল নিয়ে যাই। পরে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

রানী সরকারের মরদেহ বর্তমানে তার মোহাম্মদপুরের বাসায় রাখা হয়েছে। বাদ যোহর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ের একটি মসজিদে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর রানী সরকারের ইচ্ছেতেই আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এর আগে এফডিসিতে তার মরদেহ নেওয়া হবে।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান জানান, দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে এফডিসিতেও রানী সরকারের জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।

রানী সরকারের আসল নাম মোসাম্মৎ আমিরুন নেসা খানম। তার জন্ম সাতক্ষীরা জেলার সোনাতলা গ্রামে। ১৯৫৮ সালে মঞ্চনাটকের মাধ্যমে তিনি অভিনয় শুরু করেন। একই বছর ‘দূর হ্যায় সুখ কা গাঁও’র মাধ্যমে প্রথম সিনেমায় অভিনয় করেন কিংবদন্তিতুল্য এই অভিনেত্রী।

প্রায় আড়াইশ চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। তার অভিনীত সিনেমাগুলো- ‘চান্দা’, ‘তালাশ’, ‘কাচের দেয়াল’,  ‘বেহুলা’,  ‘আনোয়ারা’,  ‘চোখের জল’, ‘নাচের পুতুল’ ইত্যাদি। তিনি পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।

রানী সরকার একসময় পর্দায় দাপিয়ে অভিনয় করলেও শেষ বয়সে এসে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। তিনি কয়েক দফায় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৮
জেআইএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।