ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

রাজীবের ভাইদের দায়িত্ব নিতে চান অনন্ত জলিল

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
রাজীবের ভাইদের দায়িত্ব নিতে চান অনন্ত জলিল রাজীবের ভাইদের দায়িত্ব নিতে চান অনন্ত জলিল

গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে বিআরটিসির একটি বাসের সঙ্গে স্বজন পরিবহনের একটি বাসের টক্করে দুই বাসের চাপায় পড়ে ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রাজীবের।

তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সরকারের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিলো।

 কিন্তু গত সোমবার (১৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন ঢামেকের চিকিৎসকরা।

সেই রাজীবের ছোট দুই ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে চান অভিনেতা অনন্ত জলিল।  

মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) ছিলো জনপ্রিয় এই অভিনেতার জন্মদিন। এদিন ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এমনটাই জানিয়ে অনন্ত জলিল লিখেছেন, বন্ধুগণ, আসসালামু আলাইকুম। আজকের দিনে আল্লাহতায়ালা তার সুন্দর ধরণী আর সুন্দর সুন্দর সৃষ্টির মাঝে আমাকে পাঠিয়েছেন, আজ আমার জন্মদিন, তাই শুকুর আলহামদুলিল্লাহ্। রাব্বুল আলআমিনের নিকট আমি কৃতজ্ঞ, এ কারণে যে এমন আনন্দের দিনে তিনি আমাকে সপরিবারে মক্কায় অবস্থান করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তবে মন খারাপ আরেক কারণে, সকালে দেশের অধিক জনপ্রিয় দৈনিক খবরের কাগজে একটি সংবাদ দেখে। কিছু দিন আগে বাস দুর্ঘটনায় রাজীব নামে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী তার হাত হারিয়ে ছিলেন। এবং আজ তিনি পৃথিবী হতে বিদায় নিয়েছেন। যা আমাকে বেশ মর্মাহত করেছে। বাবা-মা হারা এই সন্তান তার ছোট দুই ভাইকে পিতা-মাতার স্নেহ দিয়ে আগলে রেখেছিলো। কিন্তু রাজিবের অকাল বিদায়ে তার দুই ছোট ভাইয়ের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে। তাই আমার জন্মদিনে আমি চাচ্ছি যে পরিবার হারা এই দুই সন্তানের পড়ালেখার দায়িত্ব নিতে। আশা করি জনপ্রিয় দৈনিক আলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আমাকে রাজিবের দুই ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে এবং তাদের খোঁজ পেতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে তাদের ভবিষ্যৎ সুন্দর জীবন-যাপনের জন্য সাহায্য করবেন।
খোদা হাফেজ।  

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাসিন্দা রাজীব তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াকালে মাকে এবং অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালে বাবাকে হারান। এরপর মতিঝিলে খালা জাহানারা বেগমের বাসায় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। মহাখালীর তিতুমীর কলেজে স্নাতকে ভর্তি হওয়ার পর যাত্রাবাড়ীতে মেসে ভাড়ায় থেকে পড়াশোনা করছিলেন রাজীব। পাশাপাশি তিনি একটি কম্পিউটারের দোকানেও কাজ করছিলেন। নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি ছোট দুই ভাইয়ের খরচও চালাতে হতো রাজীবকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
বিএসকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।